ত্রিপুরায় এখন তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বিজেপির স্নায়ুর লড়াই চলছে। বিজেপি আটকে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে ঘাঁটি গেড়ে গর্জে উঠতে মরিয়া। আইপ্যাকের টিমের ২৩ জন সদস্যকে হোটেল–বন্দি রাখা হচ্ছে। আবার বিজেপির নেতা–কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। এই প্রেক্ষাপটে সুদীপ রায় বর্মন একটি পোস্ট করেন ফেসবুকে। যা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। এই সুদীপ একদা মুকুল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
ঠিক কী লিখেছেন সুদীপ রায় বর্মন? ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘রাগ, হতাশা অথবা আবেগতাড়িত হয়ে চটজলদি নেওয়া কোনও সিদ্ধান্ত জাতীয়তাবাদ বিরোধী শক্তির হাতকে শক্ত করে। জাতীয়বাদি শক্তির সঙ্গে থাকুন। শীর্ষ নেতৃত্বের উপর ভরসা রাখুন।’ বিজেপি ছেড়ে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন তাঁদের উদ্দেশ্যেই এই পোস্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এখন প্রশ্ন উঠছে, তিনি কী কোনও আশঙ্কার মেঘ দেখতে পাচ্ছেন? হঠাৎ এই পোস্ট কেন?
একুশের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলার ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার তাঁদের পাখির চোখ উত্তর–পূর্ব ভারতের বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য ত্রিপুরা। তবে এই লক্ষ্যপূরণে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম তুরূপের তাস ছিলেন সুদীপবাবু। মাঝে শোনা যাচ্ছিল, তিনি নাকি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন। মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর একপ্রস্ত কথা হয়েছে। কিন্তু আজকের এই ফেসবুক পোস্টের পর তা আর হবে বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক নেতারা।
অথচ একটা সময় মুকুল রায়ের হাত ধরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। আবার মুকুল রায়ের দলবদলে তিনিও তৃণমূল কংগ্রেস ভেঙে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। মুকুল রায় অবশ্য এখন তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন। তখনই জল্পনা তৈরি হয় সুদীপও ফিরে আসবেন। আসবেন একাধিক বিজেপি বিধায়ক। ভেঙে যাবে ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের সরকার। কিন্তু এই পোস্টের পর আর তা কী হবে? উঠছে প্রশ্ন।