দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের কুমিল্লায় দুর্গামণ্ডপে ভাঙচুরের ঘটনার পরই হিংসার আঁচ ছড়ায় পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরায়। ওপার বাংলার সংঘ্যালঘুদের উপর হামলার পর সীমান্ত পারে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উফর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। ত্রিপুরার সেই ঘটনার প্রসঙ্গ উঠল সংসদে। আর সংসদে এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই জবাব দিয়ে কেন্দ্র জানায়, ত্রিপুরা সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবরকম পদক্ষেপ নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এই বিষয়ে বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গুজব ও ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানোর জন্য কোনও নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা হয়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো বিদ্বেষপূর্ণ পোস্টের ক্ষেত্রে ৬টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।‘
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা রোধ করতে ত্রিপুরা সরকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছে। রাতে মোবাইল এবং নির্দিষ্ট পিকেট এবং নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে। সমস্ত ধর্মীয় স্থানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।‘ নিত্যানন্দ রাই আরও বলেন, ‘ত্রিপুরা সরকার জানিয়েছে যে সম্পত্তির ক্ষতির কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যে এই ঘটনার জন্য ১৫টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।‘
উল্লেখ্য, অভিযোগ উঠেছিল, ত্রিপুরার গোমতী জেলায় মসজিদ ভাঙচুর করা হয়। তবে এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ত্রিপুরার গোমতী জেলায় মসজিদ ভাঙচুর নিয়ে যে খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছিল তা ভুয়ো ও পুরোপুরি বাস্তব ঘটনাকে বিকৃত করে পেশ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছিল সাম্প্রতিক অতীতে ত্রিপুরায় মসজিদ ভাঙচুরের কোনও রিপোর্ট আসেনি। কিছু সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করে যে ধরণের অভিযোগ করা হচ্ছিল সেই সম্পর্কিত তেমন কোনও সাধারণ অথবা ভয়াবহ আঘাতের ঘটনা নেই। সেই সম্পর্কিত কোনও ধর্ষণ, মৃত্য়ুর কোনও রিপোর্ট নেই।