পদে পদে হোঁচট। শনিবার যখন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানিক সাহার নাম ঘোষণা করেছিলেন বিপ্লব দেব, তখনই তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল বিজেপির অন্দরে। প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। আর রবিবার দুপুরে যখন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রাজভবনে শপথ নিলেন মানিক সাহা, তখন সেখানে গরহাজির একাধিক বিধায়ক। আর সেই তালিকায় একদিকে যেমন নাম রয়েছে রামপ্রসাদ পালের তেমনি বিপ্লব দেব তৎকালীন মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মনকেও এদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। তবে মানিক সাহা শপথ নেওয়ার পরে অবশ্য জিষ্ণু দেব বর্মন রাজভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে কাদের নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা তৈরি করবেন মানিক সাহা? বিপ্লব দেব ঘনিষ্ঠ বিক্ষুব্ধরা কি আদৌ জায়গা পাবেন মানিক সাহার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায়? কয়েকজনের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়লেও তাঁরা কি আর আগের মতো মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব পাবেন? এনিয়ে জোর চর্চা চলছে ত্রিপুরার মাটিতে।
এর সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে ফের কি উপমুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে পারবেন জিষ্ণু দেব বর্মন? নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি কতটা গুরুত্ব পাবেন তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভার অবলুপ্তির জেরে স্বাভাবিক নিয়মেই তিনি টুইটার বায়ো থেকেও উপমুখ্যমন্ত্রী শব্দটি সরিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র বিধায়ক পরিচয়টি রেখেছেন। তবে এবার কাদের নিয়ে মন্ত্রিসভা সাজাবেন মানিক সাহা তা নিয়েও আগ্রহ তুঙ্গে।
তবে দলের অন্দরমহলে অবশ্য অন্য সংশয়। অনেকের মতে, পঞ্চাবে সিএম কে সরিয়ে যেমন অবস্থা হয়েছিল কংগ্রেসের, ত্রিপুরায় কি সেই পরিস্থিতি হবে বিজেপির? হিতে বিপরীত হয়ে গেল না তো? যেভাবে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা কি তৃণমূল সহ বিরোধীদের সুবিধা করে দেবে? এসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।