সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসে নিয়োগের মেধা তালিকা। আর সেই তালিকা প্রকাশ হতেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। উঠেছে কেলেঙ্কারির অভিযোগ। এর জেরে সেরাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগানো, ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে বিপ্লব কুমার দেব নেতৃত্বাধীন সরকার।
ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার এক বিজেপি নেতাকে সংবাদমাধ্যমের সামনে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমার ছেলের চাকরি যাতে হয়ে যায়, তার জন্যে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে টাকা দিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও ছেলে চাকরি পায়নি।’ এই আবহে বহু জায়গায় বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে হানা দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। শুধু তাই নয়, সচিবালয়ের মূল ফটকের সামনেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেখানে বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে তাতে দমে না গিয়ে ত্রিপুরা হাই কোর্টের সামনের রাস্তায় অবরোধ করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
যদিও এই বিক্ষোভের মাঝেই বিজেপির দাবি, সরকারি নিয়ম মেনেই চাকরি দেওয়া হয়েছে। যদিও শাসক দলের এহেন মন্তব্যে মন গলছে না বিরোধীদের। ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ‘রাজ্যে চাকরি নিয়ে এমন কেলেঙ্কারি এর আগে কখনও হয়নি। বিজেপি তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেনি। প্রায় চার বছরের মাথায় চাকরি দেওয়া হচ্ছে। তা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ। সাধারণকে চাকরি দিতে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির নেতারাই একে অপরের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করছেন।’