করোনাভাইরাসের প্রকোপের দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল স্কুল। অনলাইনে ক্লাস চালু থাকলেও গত বছর ডিসেম্বরে প্রথম স্কুল খুলেছিল। সেই পরিস্থিতিতে আট-ন'মাসে পড়ুয়ারা কতটা শিখেছে, তা যাচাই করতে আজ (সোমবার) থেকে ত্রিপুরায় তৃতীয় থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের অন্তবর্তীকালীন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু হল।
শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলবে। সেই সময় পড়ুয়াদের স্কুলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও পড়ুয়া যদি ওই ছ'দিন স্কুলে না যেতে পারে, তাহলে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চূড়ান্ত রাউন্ডে তারা স্কুলে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সামিল হতে পারবে। কোনও পড়ুয়ার যদি নির্দিষ্ট কোনও বিষয়ে সমস্যা থাকে, তাহলে ফাইনাল পরীক্ষার আগে তাদের বিশেষ কোচিং দেওয়া হবে। ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাখ বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য সব স্কুল বন্ধ ছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য অন্তবর্তীকালীন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া প্রয়োজন ছিল।’
২০১৯ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির ৪৩.২২ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী পাঠ্যবই পড়তে পারে। ১৯.০২ শতাংশ পড়ুয়ার প্রাথমিক যোগ করার জ্ঞান আছে। সেই পরিস্থিতিতে গত বছর ‘নতুন দিশা’ নামে একটি প্রকল্পের অধীনে বিশেষ কোচিংয়ের বন্দোবস্ত করেছিল রাজ্য সরকার। রতনলাল বলেন, ‘নতুন দিশা চালুর পর দেখেছি যে ৯৩.৬৯ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী পাঠ্যবই পড়তে পারে। আর প্রাথমিক স্তরের অঙ্ক করতে পারে ৮৮.২৭ শতাংশ পড়ুয়া।’