বাংলা ছাড়িয়ে ত্রিপুরার দুর্গাপুজোতেও একেবারে গিজগিজে ভিড়। আগরতলায় ১৮৩ বছরের প্রাচীন দুর্গাপুজোয় প্রচুর ভক্ত সমাগম। কোভিড অতিমারির মধ্যেই এই বিপুল ভিড়কে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এদিকে এটিই ত্রিপুরার একমাত্র দেবী দুর্গা যিনি দ্বিভূজা। দুর্গাবাড়ি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জয়ন্ত ভট্টাচার্য বলেন, ১৩৭ বছর আগে মন্দিরটিকে আগরতলায় স্থানান্তরিত করা হয়। আসলে তাঁদের বংশধরেরা আগে গোমতী জেলায় রাজপরিবারে দুর্গার আরাধনা করতেন। পরে সেটি আগরতলায় স্থানান্তরিত করা হয়।
একটা সময় এই পুজোতে মহিষ বলি দেওয়া হত। পরে আদালতের নির্দেশে সেই বলি প্রথায় ছেদ পড়ে। এদিকে কথিত আছে, রাজা কৃষ্ণ কিশোর মানিক্যের স্ত্রী সুলক্ষ্মণা দেবী রাঙামাটিতে সন্ধ্যা আরতির সময় দেবী দুর্গার দশভূজা রূপ দেখে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। এরপর রাণী স্বপ্নে দেখেন, দেবী বলছেন তিনি দুটি হাত নিয়েই আবির্ভূতা হবেন। বাকি আটটি হাত তাঁর পিঠের পেছনে লুকানো থাকবে। এদিকে ভারতভুক্তি চুক্তির পরে দুর্গাবাড়ির মন্দির সহ কয়েকটি ক্ষেত্রে সরকারই পুজোর দায়িত্ব নিয়েছিল। সেই পুজোকে ঘিরেই উৎসবের আমেজ আগরতলায়। এদিকে সরকারি হিসাবে এবার ২ হাজার ১৬৭টি জায়গায় দুর্গাপুজো হচ্ছে। ১৫৭টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র করে হয়েছে রাজ্য জুড়ে। এর মধ্যে ৫০টি রয়েছে আগরতলায়। সুরক্ষার জন্য ৯৮টি ওয়াচ টাওয়ারও করা হয়েছে।