চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখন তিনি ‘চিফ টুইট’। এই আবহে বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, টুইটারে ব্যাপক বারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছেন ইলন মাস্ক। যদিও সেই সব দাবি খারিজ করে দেন মাস্ক নিজে। তবে মাস্কের সেই দাবির কয়েক ঘণ্টা পরই ছাঁটাই হলেন টুইটারের বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের সব সদস্য। এখন মাস্ক একাই সংস্থার ডিরেক্টর। সংস্থার যাবতীয় কাজ তিনি একাই করবেন।
এর আগে টুইটারের মালিকানা বদলের চুক্তি সম্পন্ন হতেই পরাগ আগরওয়ালকে চাকরি থেকে বের করে দিয়েছিলেন মাস্ক। শুধু সিইও পরাগকেই নয়, টুইটারের চিফ ফাইন্যানশিয়াল অফিসার নেড সেয়গাল, সিএফও এবং আইন বিভাগের প্রধান বিজয়া গাড্ডেকেও চাকরি থেকে বের করে দেন মাস্ক। শুধু তাই নয়, এই কর্তাদের নিরাপত্তারক্ষীদের ‘এসকর্টে’ টুইটারের অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে দাবি করা হয় একাধিক রিপোর্টে।
জানা গিয়েছে, পরাগ আগরওয়ালকে চাকরি থেকে বের করায় ক্ষতিপূরণ বাবদ তাঁকে ৪২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩২১.৬ কোটি টাকা) দিতে হবে মাস্ককে। পরাগের চাকরির চুক্তি অনুযায়ী, কোম্পানি বিক্রির ১২ মাসের মধ্যে যদি পরাগ আগরওয়ালকে ছাঁটাই করা হয়, তাহলে তাঁকে ৪২ মিলিয়ন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে এই ক্ষতিপূরণে টাকা আটকে দেওয়ার চেষ্টা করবেন মাস্ক। যদিও নয়া ‘চিফ টুইট’ এই সব দাবি খারিজ করেন।
উল্লেখ্য, ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারকে কিনেছেন ইলন মাস্ক। এর আগে চলতি বছরের শুরুতেই টুইটারের ৯.২ শতাংশ মালিকানা কেনেন ইলন। টুইটারের বোর্ডেও ইলন যোগ দেবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু দিনকয়েক পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন ইলন। তারপর শেয়ারপিছু ৫৪.২ ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন টেসলার কর্ণধার। সেই দরেই টুইটার কেনা নিয়ে চুক্তি হলেও পরে পিছ পা হন মাস্ক। এই নিয়ে মাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে যায় টুইটার। শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের মাঝে টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক।