যেভাবে উইঘুর মুসলমানদের সঙ্গে চিন ব্যবহার করে, সেই নিয়ে ক্রমশই সরব হচ্ছে আমেরিকা। তবে মুখে মুসলমান হিতের কথা বললেও, চিনের এ হেন অমানবিক ব্যবহার নিয়ে কোনও হেলদোল নেই পাকিস্তানের।
গত সপ্তাহেই মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক দলের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জো বাইডেন বলেন চিন যেটা করছে সেটা গণহত্যা। একই সঙ্গে এটি রুখতে ট্রাম্প কী করছেন, সেই প্রশ্নও করেন বাইডেন।
চিনের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে ভালো সম্পর্ক থাকলেও ক্রমশ তিক্ত হয়েছে মার্কিন-চিন সম্পর্ক ট্রাম্প জমানায়। প্রায় দশ লক্ষ উইঘুরদের শিনজিয়াং প্রদেশে আটকে রেখেছে চিন। তাদের মন থেকে উগ্রপন্থী চিন্তা দূর করার জন্য ও তাদের হাতের কাজ শেখানোর জন্য এই ক্যাম্পগুলি আনুষ্ঠানিক ভাবে চালায় চিন। কিন্তু বাস্তবে এটি কার্যত জেলে আটকে থাকার সামিল বলেই অনেকের অভিযোগ।
তবে এসব নিয়ে নিশ্চুপ থাকে পাকিস্তান। ইমরান খানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন যে তিনি ঠিক করে জানেন না। উইঘুরদের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ১১ লক্ষ হান চিনা ক্যাডারকে পূর্ব টার্কিস্থানে পাঠিয়েছে চিন। সেখানে উইঘুর পরিবারের সঙ্গে মিশে যেতে ও সেই সব পরিবারের সদস্যদের বিয়ে করার জন্যেও পয়সা দেয় বেজিং, এই অভিযোগও উঠেছে।