ভারতের করোনাভাইরাস টিকা নিয়েছেন। যা ভালো কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেইসঙ্গে ভারতকেও ধন্যবাদ জানালেন।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে মোদীর সঙ্গে দেখা করেন জনসন। হায়দরাবাদ হাউসে দু'দেশের যৌথ বিবৃতির মধ্যেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমরা একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছি। অক্সফোর্ড (বিশ্ববিদ্যালয়) এবং সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) যৌথ উদ্যোগে (করোনাভাইরাস টিকা) তৈরি করা হয়েছে। যা ১০০ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দিতে ব্যব-হত হয়েছে। আমিও ভারতীয় করোনা টিকা নিয়েছি। যা ভালো কাজ করেছে। ভারতকে ধন্যবাদ।’
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে করোনা টিকা তৈরি করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সেই টিকার উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)। নাম দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ড। নিম্ন ও মধ্য আয়বিশিষ্ট দেশের জন্য করোনা টিকার ডোজ তৈরি করার চুক্তি করেছে ভারতীয় সংস্থা। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সেই অ্যাস্ট্রোজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকা নেন।
যৌথ বিবৃতিতে কী কী বললেন জনসন?
১) জনসন: আমাদের দারুণ কথা হয়েছে। সবদিক থেকে মজবুত হয়েছে আমাদের সম্পর্ক। বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে ভারত এবং ব্রিটেনের যে সম্পর্ক আছে, তা বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২) নাম না করে চিনকে বার্তা দিয়ে জনসন বলেন, ‘গত বছর থেকে স্বৈরাচারী জোটের তরফ থেকে বিপদ তৈরি হচ্ছে। তাই ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত রাখার জন্য আমাদের সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত রাখতে আকাশপথ, মহাকাশ এবং সমুদ্রপথে সমস্যার মোকাবিলা করতে একমত হয়েছি আমরা। নিজেদের দেশে তৈরি শক্তির ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই সফরের ফলে আমাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।’