বিপর্যয়ের পর কাটতে চলল প্রায় ২৪ ঘণ্টা। উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে চলছে উদ্ধারকাজ। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ কমপক্ষে ১৭০ জন। তপোবন লাগোয়া এলাকার সুড়ঙ্গে আটকে যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।
একনজরে দেখে নিন উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়ের সাম্প্রতিক তথ্য -
১) রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) প্রবীণ অলোক জানিয়েছেন, হৃষিগঙ্গা এবং ধৌলিগঙ্গা থেকে সোমবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত ১৮ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
২) হড়পা বানে কমপক্ষে ১৮০ টি ভেড়া এবং ছাগল ভেসে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুই মহিলা-সহ পাঁচ স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। দুই মহিলা ঘাস কাটছিলেন।
৩) প্রাথমিকভাবে বিধ্বস্ত দেবভূমিতে রেইকি চালিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, তপোবন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র (হৃষি গঙ্গা প্রকল্প) পুরোপুরি ধুয়েমুছে গিয়েছে। ঘটনাস্থলের কমপক্ষে চারটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই তালিকায় আছে তপোবনের এনটিপিসি বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
৪) উদ্ধার চালাচ্ছে এসডিআরএফ, ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। ভারতীয় সেনার দল মোতায়েন করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের দেরাদুন থেকে জোশীমঠ পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার এবং বিমান।
৫) এসডিআরএফের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও ২০২ জনের খোংজ মিলছে না। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন রেনি গ্রাম, তপোবন হৃত্বিক কোম্পানির ১১ জন, কারোছির দু'জন এখনও নিখোঁজ। তপোবন বাঁধের সুড়ঙ্গে ২৫-৩৫ জন শ্রমিক আটকে আছেন। হৃষিগঙ্গা বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।