শিশির গুপ্ত
অবসর নিলেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস (আইএফএস) অফিসার বিনয় কোয়াত্রা। কোয়াত্রা এর আগে নেপালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। এই আবহে চিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ নবীন শ্রীবাস্তবকে নেপালে ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হতে পারে। (আরও পড়ুন: ইউরোপ যাচ্ছেন মোদী, বার্লিনে বৈঠক জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে, যাবেন প্যারিসেও)
নবীন শ্রীবাস্তব বর্তমানে বিদেশ মন্ত্রকের পূর্ব এশিয়া ডেস্ক পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত সচিব হিসেবে। তিনি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বিবাদের আবহে ভারত-চিন সামরিক কমান্ডারদের বৈঠকের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। নেপালের উপর বিগত কয়েক বছরে যেভাবে চিনা প্রভাব বেড়েছে এই আবহে শ্রীবাসতবকে কাঠমান্ডু পাঠানো হলে তা বেশ তাত্পর্যপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ১৯৯৩ সালের আইএফএ ক্যাডারের শ্রীবাস্তবের ব্যাচমেট সুধাকর দালেলাকে ভুটানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি ওয়াশিংটনে ডেপুটি চিফ অফ মিশন পদে রয়েছেন। এদিকে ভুটানে নিযুক্ত বর্তমান রাষ্ট্রদূত রুচিরা কাম্বোজকে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী দূতের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। ২০২২ সালের জুন মাসে টিএস তিরুমূর্তির মেয়াদ শেষ হলে কাম্বোজকে সেই পদে পাঠানো হতে পারে।
এদিকে নয়া বিদেশ সচিব কোয়াত্রা ১৯৮৮ ব্যাচের আইএফএস অফিসার। চিন এবং আমেরিকাকে সামলানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শী তিনি। অতীতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন কোয়াত্রা। ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের অগস্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যুগ্ম-সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারপর ফ্রান্সে ভারতের দূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্যারিসে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরের মাসেই তাঁকে নেপালের রাষ্ট্রদূত করে পাঠানো হয়। এর আগে তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বিদেশ মন্ত্রকে ডেস্ক অফিসার হিসেবে কাজ করেছিলেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রসংঘ সংক্রান্ত বিষয় সামলাতেন। আমেরিকা এবং কানাডার সঙ্গেও কাজ করেছিলেন।