সুস্থ হওয়ার আশা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন রোগী। এরপর জীবনদায়ী ডাক্তারদের এ কি কাণ্ড, আলো না জ্বালিয়ে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট অন করে এ কেমন চিকিৎসা করলেন রোগীর! ওড়িশা রাজ্যের হেলথ সেন্টারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠছে মানবিকতার প্রশ্ন। সম্প্রতি, ডেরাবিশ কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে মোবাইল ফোনের আলোতে রোগীর চিকিৎসা করেছিলেন সেখানকার ডাক্তাররা। বেগতিক কাণ্ড দেখে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তোলেন রোগীর সঙ্গে আসা মানুষজন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রশাসন এই মর্মান্তিক ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর।
রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মোটরসাইকেল চালক গুরুতর আহত হন, এরপর তাঁকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় আচমকা বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মীরা মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইটের সাহায্যে রোগীর চিকিৎসা করেছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিএইচসিতে একটি ডিজেল জেনারেটর রয়েছে, তাও কেন অন্ধকারে চিকিৎসা করলেন ডাক্তাররা। উঠছে প্রশ্ন। কেন্দ্রপাড়ার সিডিএমও ডাঃ অনিতা পট্টনায়েক বলেছেন, 'আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।'
রোগীর সঙ্গে যিনি ছিলেন তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা যখন সিএইচসিতে আসি, তখন অন্ধকার ছিল এবং কর্তব্যরত ডাক্তার ফোনে কথা বলতে বলতে হাসপাতালের বাইরে চলে যাচ্ছিলেন। আলো ছিল না। আমরা আমাদের মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দিলাম এবং ডাক্তার চিকিৎসা শুরু করলেন।’
স্থানীয় লোকেরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে ২৬ টি পঞ্চায়েতের হাজার হাজার লোক তাঁদের স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনের জন্য সিএইচসি-র উপর নির্ভর করে। সেখানে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমন হাল মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, ওই মোটরসাইকেল চালক ছাড়াও কুরুজং এলাকার শ্রীধর সামল নামে এক বয়স্ক ব্যক্তি সিএইচসিতে চিকিৎসা করার এলে, তাঁর সঙ্গেও এই একই আচরণ করা হয়েছে।
যদিও, দেরাবিশ সিএইচসির মেডিকেল অফিসার এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, রোগীর ছোটখাটো অস্ত্রোপচারের সময় লাইট চলে গিয়েছিল। যেহেতু ডাক্তাররা অস্ত্রোপচারের মাঝখানে ছিলেন, তাই কর্মীরা জেনারেটর সেট চালু করার আগে মোবাইল ফোনের লাইট ব্যবহার করেছিলেন। এটা মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যাপার ছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন যে 'বিকাল ৫টায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। আমরা ত্রুটি খুঁজছি। ডিজি সেট আছে কিন্তু কাজ করছে না।'