অতিরিক্ত ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানোর জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি লিখলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবার এই কথা জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রণালয়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তিনদিনের সফরে ভারতে এসেছিলেন ইউক্রেনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এমিন জাপারোভা। তিনি ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির সঙ্গে দেখা করে মোদীর উদ্দেশে লেখা জেলেনস্কির চিঠিটা তুলে দেন। পাশাপাশি ইউক্রেনে পরিকাঠামো তৈরির জন্য ভারতীয় সংস্থাগুলিকে আমন্ত্রণ জানান সেদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেনের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ভারতীয় সংস্থাগুলির জন্য বড় সুযোগ হয়ে উঠতে পারে।' (আরও পড়ুন: '১৫-১৬ তারিখ…', অপেক্ষা ঝড়বৃষ্টির, কালবৈশাখীর কালো মেঘ কবে কাটবে বাংলার টিকিট?)
এদিকে ভারতে এসে ইউক্রেনের থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য বলেন জাপারোভা। চিন-পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে জাপারোভা বলেন, 'কঠিন প্রতিবেশীদের কী ভাবে সামলানো যায়, তা ক্রাইমিয়া পরিস্থিতি দেখে শিখতে পারে ভারত।' গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ সেনার হামলা শুরুর পরে এই প্রথম ইউক্রেনের কোনও মন্ত্রী ভারত সফরে এলেন। এদেশে এসে জাপারোভা বলেন, 'ইউক্রেন সত্যিই চায় ভারত এবং ইউক্রেন ঘনিষ্ঠ হোক।' উল্লেখ্য, এর আগে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে ইউক্রেনের সম্পর্ক খুব একটা মধুর ছিল না। ইউক্রেন রাষ্ট্রসংঘে অনেক ক্ষেত্রেই পাকিস্তানকে সমর্থন করত। এই আবহে জাপারোভা ভারতকে 'বিশ্বগুরু' আখ্যা দিয়ে বলেন, 'আমরা ভারতের সঙ্গে নতুন ভাবে সম্পর্ক শুরু করতে চাই।'
আরও পড়ুন: এবার বাংলায় তৈরি হবে 'স্লিপার ক্লাস' বন্দে ভারত! বরাত মিলেছে ৯৬০০ কোটির
প্রসঙ্গত, এর আগেও যুদ্ধ থামানোর জন্য ভারতের সহায়তা চেয়েছিলেন জেলেনস্কি। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথাও হয় শাংহাই কোঅপরাশেনের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে। মোদী বলেছিলেন, 'এটা যুদ্ধের সময় নয়'। তাঁর সেই বার্তা বিশ্বনেতাদের মন জয় করেছিল। রুশ প্রেসিডেন্টও মোদীর কথায় সায় দিয়েছিলেন। তবে যুদ্ধ তিনি থামাননি। এদিকে রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের কোনও দেশের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি ভারত। তবে রাশিয়ার পক্ষেও ভোট দেয়নি ভারত। যদিও ইউক্রেন বারংবারই ভারতকে 'নিরপেক্ষ' অবস্থান ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে। তবে দিল্লি নিজের স্থানে অনড় থেকেছে। যদিও ইউক্রেনের দিকে এর আগেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। পাঠানো হয়েছে ত্রাণ। এই আবহে মোদীর কাছে আবারও ত্রাণ চাইলেন জেলেনস্কি।