মন কি বাত থেকে নির্বাচনী ভাষণ। নোটবন্দি থেকে লকডাউন ঘোষণা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ প্রায় সবসময়েই ট্রেন্ডিংয়ে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ কি তিনি নিজে লেখেন? নাকি এ বিষয়ে পারদর্শী কেউ তাঁকে সাহায্য করেন?
সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় এ বিষয়ে একটি আবেদন জমা পড়ে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে জানতে চাওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আসল লেখক কে? শুধু তাই নয়, এই ভাষণ লেখা, সম্পাদনার পেছনে খরচ হওয়া অর্থেরও হিসাব জানতে চাওয়া হয়।
এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, বিভিন্ন শ্রোতাদের মতামতই তাঁর ভাষণের মূল ভিত্তি। অর্থাত্ সহকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাজেশন মেনেই সাজানো হয় ভাষণের ব্লু-প্রিন্ট। তবে অন্য কোনও ব্যক্তি নন, ভাষণের চূড়ান্ত খসড়া তৈরী করেন নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং।
প্রধানমমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, কর্মসূচীর ধরণের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন স্তরের মানুষের পরামর্শ নেওয়া হয়। বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের জন্য পরামর্শ দেন। সেটার উপর ভিত্তি করেই ভাষণের অ্যাঙ্গেল ঠিক করেন মোদী।
আরটিও-টিতে ভাষণের পেছনে খরচের পরিমাণ জানতে চাওয়া হলেও সে বিষয়ে কিছু জানায়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এছাড়া এই কাজের দায়িত্ব প্রতক্ষ্যভাবে কত জনের উপর রয়েছে তারও উত্তর মেলেনি।