মিথ্যা যৌন হেনস্থার মামলায় এক ৬৪ বছর বয়সী ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর চেষ্টা মহিলার। আর তা পুলিশি তৎপরতায় হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল। ঘটনা মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরের। সেখানে সহর পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আর সেই মামলা করেন ওই ৬৪ বছর বয়সী ব্যবসায়ী। সেই মামলার তদন্তে নেমেই পুলিশ খোলসা করেছে বড়সড় তোলাবাজির কাণ্ড!
যৌন হেনস্থা করেছেন ব্যক্তি, এই ভুয়ো মামলা সাজিয়ে ব্যক্তির থেকে ৩ কোটি টাকা তোলা আদায় করেছে মহিলা, বলে অভিযোগ। ঘটনা মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরের। ২০২১ সালের সেই ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ চার্জশিট পেশ করে। ঘটনায় মনিকা চৌহান নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। আর মণিকার সঙ্গে এই ঘটনায় তাকে সহযোগিতা করেছেন অনিল চৌধরী নামে এক ব্যক্তি, লুবনা ওয়াজির নামে এক ফ্যাশন ডিজাইনার, মণীশ সোধি নামে এক স্বর্ণকার। যে ব্যক্তিকে টাকা চেয়ে ভুয়ো মামলায় হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, সেই ব্যক্তির বয়স ৬৪। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, ২০১৯ সালে বানানো এক ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৩.২৬ কোটি টাকা আদায় করেছে অভিযুক্ত মহিলা। সেই মহিলার দাবি ছিল, টাকা না দিলে, ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা করা হবে। গোটা ঘটনায় ও ভিডিয়োটিকেই কার্যত প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করেছিল মণিকা ও তার সহযোগিরা।
ঘটান ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ঘটেছিল। মুম্বইয়ের এক নামি হোটেলে তখন ছিলেন ব্যবসায়ী। তার আগে থেকে অনিল চৌধুরীকে চিনতেন ব্যবসায়ী। অনিল তাঁকে ফ্যাশন ডিজাইনার লুবনা ওয়াজিরের সঙ্গে পরিচয় করান। এরপর ওই ফাইভস্টার হোটেলে অনিলের মাধ্যমে মনিকার সঙ্গে আলাপা ব্যবসায়ীর। এরপর সেদিন লুবনা ও মনিকার সঙ্গে ডিনারের পর তাঁদের নিয়ে রুমে যান ব্যবসায়ী। পরে লুবনা জানান ব্যবসায়ীকে, যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি তাঁকে হোটেলের লবিতে তুলে দিয়ে আসতে হবে। আর মণিকা জানান, তাঁকে ওয়াশরুম যেতে হবে। এরপর হোটেলের ডোর বেল বাজে। ব্যবসায়ী দরজা খুলতেই দেখেন লুবনা, তিনি চিৎকার করছেন হাতে মোবাইল ফোনে রেকর্ড করতে করতে। লুবনা দাবি করেন, হোটেলের ভিতর মণিকাকে যৌন হেনস্থা করছেন ব্যবসায়ী। ততক্ষণে মণিকা নিজেকে পোশাক ও বেডশিট দিয়ে আড়াল করার চেষ্টা করেন স্বল্প বসনে। ততক্ষণে বেডশিটে লাগা ছিল রক্ত। লুবনা দাবি করেন, এই রক্তই প্রমাণ করছে যে মণিকাকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। পরে অনিল এসে ওই ঘটনার জন্য ১০ কোটি টাকা দাবি করেন , যাতে কেউ জানতে না পারে, তার জন্য। এরপর চলতে থাকে ক্ষেপে ক্ষেপে তোলা আদায়। পরে পুলিশ নামে তদন্তে। দেখা যায়, বিছানার বেডশিটে লাগা রক্ত মুরগির। আর এভাবে মণিকারা বহু জনকে ব্ল্যাকমেল করেছে। পরে মণিকা গ্রেফতার হয়।