জাতীয় রাজনীতিতে পরিবর্তন প্রয়োজন। এই দাবি আগেই করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একই কথা শোনা গেল তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মুখে। আজ তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁর সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের কথা চলছে। ‘জাতীয় স্তরে পরিবর্তন আনতে’ তাঁর সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর কাজ করছেন। বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে তিনি এক জায়গায় আনার চেষ্টা করছেন বলেও খবর।
ঠিক কী বলেছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী? এদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় রাজনীতিতে একটা শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। আমি এখন জাতীয় রাজনীতি নিয়ে কাজ করছি। আমার পক্ষে যে কাজ সেটা আমি করছি। এই নিয়ে বেশ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করব। যাঁরা দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। আমরা একটা জনমত তৈরির চেষ্টা করছি। আমি এটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি, ২০২৪ সাল থেকে দেশ একটা বিপ্লবের পথে চলবে।’
এই তেলঙ্গানায় ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে বিজেপিকে উড়িয়ে দিতে পারলেই জাতীয় রাজনীতির সলতে পাকতে শুরু করবে। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তাই আগে থেকেই চন্দ্রশেখর রাও প্রশান্ত কিশোরের সাহায্য নিতে চাইছেন। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নিজেকে জাতীয় রাজনীতিতে তুলে ধরতে চাইছেন তিনি। দু’মাস আগে প্রশান্ত কিশোর হায়দরাবাদে গিয়ে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির প্রধানের সঙ্গে তাঁর বাগান বাড়িতে বৈঠক করেছিলেন।
তবে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, প্রশান্ত কিশোর অর্থের জন্য কাজ করছেন না। যদিও একুশের নির্বাচনে বাংলায় কাজ করে সাফল্য পাওযার পর তিনি জানিয়েছিলেন, আর ভোটকুশলীর কাজ করবেন না। সেক্ষেত্রে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে কিশোরের দাবি মিলছে না। তখন অবশ্য গোটা হায়দরাবাদে প্রশান্তের সঙ্গে রাওয়ের ৩০০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। এই নিয়ে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী সাফাই, ‘প্রশান্ত কিশোর আমার গত ৭–৮ বছরের বন্ধু। উনি কখনও টাকার জন্য কাজ করেননি। আপনারা দেশের প্রতি ওঁর দায়বদ্ধতা বুঝবেন না।’