২০২০ সালের চেয়েও খারাপ হতে পারে ২০২১ সাল। আগামী বছর বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করলেন নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের (World Food Program) প্রধান ডেভিড বিসলি।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বিসলি জানিয়েছেন, সম্প্রতি নরওয়ের নোবেল কমিটি প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখার পরে বার্তা দিয়েছে, ২০২১ সালে আরও ভয়াবহ দুর্যোগের মোকাবিলা করতে হতে পারে এবং সেই জন্য প্রস্তুত থাকা জরুরি।
তাঁর দাবি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং কোভিড অতিমারী সংবাদের শিরোনাম দখল করে রাখার ফলে বিশ্ব খাদ্য সংকটের বিষয়ে এই মুহূর্তে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরে পৃথিবী এক বিশাল ‘দুর্ভিক্ষ অতিমারী’র সম্মুখীন হতে চলেছে। যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে আর কয়েক মাসের মধ্যে একই সঙ্গে একাধিক দুর্ভিক্ষ আঘাত হানবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, দাবি করছেন বিসলি।
তাঁর মতে, ২০২০ সালেই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারত বিশ্ব। কিন্তু কোভিড আবহ মোকাবিলায় উদার আর্থিক প্যাকেজ, ঋণশোধ প্রক্রিয়ায় মেয়াদ বৃদ্ধি এবং আর্থিক অনুদানের সাহায্যে তা এড়াতে পেরেছে অধিকাংশ রাষ্ট্র। তবে এই মুহূর্তে ফের সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার লকডাউন ও অচলাবস্থার সম্ভাবনা ঘনিয়ে আসার জেরে নিম্ন ও মধ্য আয়কারী দেশগুলির আর্থিক সংকট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
পাশাপাশি, ২০২০ সালে যা অর্থ পাওয়া গিয়েছিল, ২০২১ সালে তা মিলবে না বলেও সতর্ক করেছেন বিসলি। এই কারণে নোবেল কমিটির সঙ্গে বিশ্বনেতাদের ভার্চুয়াল ও প্রত্যক্ষ আলোচনা, বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টে ভাষণ এবং আলোচনার মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের আগামী ১২-১৮ মাসের মধ্যে সম্ভাব্য দুর্বিপাকের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলছে WFP।
তাঁর মতে, ২০২১ সালে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ এড়াতে ১৫০ কোটি ডলার প্রয়োজন World Food Program-এর। তাঁর হিসাবে, প্রকল্পের তহবিলে মজুত অর্থের সঙ্গে আরও কিছু অর্থ যুক্ত হলে বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ রোধ করা সম্ভব হবে। তার জেরে অস্থিরতা ও পরিযোজন রোধ করাও সম্ভব বলে তাঁর দাবি।