বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > 48 Properties attached in Ration Scam: রেশন দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত বালুর বাড়ি, 'অ্যাটাচড' সম্পত্তির ফিরিস্তিতে ঘুরবে মাথা
48 Properties attached in Ration Scam: রেশন দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত বালুর বাড়ি, 'অ্যাটাচড' সম্পত্তির ফিরিস্তিতে ঘুরবে মাথা Updated: 13 Apr 2024, 06:55 AM IST Abhijit Chowdhury রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ একাধিক হেভিওয়েটের নাম জড়িয়েছে বিগত দিনে। এরই মধ্যে বালু সহ বহু জন জেল হাজতে দিন কাটাচ্ছেন। এই আবহে শুক্রবার এই মামলায় বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির ফিরিস্তি দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। 1/5 রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির মধ্যে অন্যতম হল রেশন দুর্নীতি। এই মামলায় ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু জেলে আছেন। শুক্রবার ইডি জানাল, হাবড়ার বিধায়ক বালুর সল্টলেক এবং বোলপুরের বাড়ি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এই দুর্নীতি মামলায়। 2/5 এদিকে শুধু বালুর এই দু'টি সম্পত্তিই নয়। এই রেশন দুর্নীতি মামলায় আরও ৪৮টি অস্থাবর সম্পত্তি নাকি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে। এদিকে শুক্রবার এই মামলায় তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস নাকি ২০১৪-১৫ সালে নিজের বৈদেশিক মুদ্রা সংস্থার মারফত হাওয়ালার মাধ্যমে ৩৫০ কোটি টাকা দুবাইয়ে পাঠান। প্রসঙ্গত, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের কর্মচারী ছিলেন এই বিশ্বজিৎ। 3/5 ইডি দাবি করেছে, সব মিলিয়ে বালুর প্রায় ২০০০ কোটি টাকা শঙ্কর আঢ্যর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে দুবাইতে। এই টাকা রেশন দুর্নীতির বলেই দাবি করা হচ্ছে। এদিকে শঙ্করের স্ত্রী জ্যোৎস্না বর্তমানে বনগাঁ পুরসভার উপ-প্রধান। দাবি করা হয়, জ্য়োতিপ্রিয়র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরেই আঢ্য পরিবারের এই ফুলে ফেঁপে ওঠা। 4/5 এদিকে শঙ্করের পাচার করা অর্থের পরিমাণ শুধুমাত্র ২০০০ কোটি নয় বরং ২০ হাজার কোটি। শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করার পর ইডি জানিয়েছিল, তৃণমূল নেতা ও তাঁর আত্মীয়দের নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতির। ইডি সূত্রে আরও জানা যায়, শঙ্কর আঢ্যর মালিকানাধীন আঢ্য ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের অ্যাকাউন্টে ২৭০০ কোটি টাকার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। 5/5 এদিকে এই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডেই উঠে এসেছিল সন্দেশখালির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের নাম। এই শেখ শাহজাহানের প্রায় ১৩ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। ভেড়ি, কলকাতায় জমি-সহ ১৪টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সেই সময়। শেখ শাহজাহানের ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।