শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে একটি কজলিস্ট প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আসবেন না বিচারপতি পাদ্রিওয়ালা। তাঁর আর বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চেই সোমবার হওয়ার কথা ছিল ডিএ মামলার শুনানি। তবে বিচারপতি পাদ্রিওয়ালা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে আসতে পারবেন না বলে জানা গিয়েছে।
1/5 বার অ্যান্ড বেঞ্চের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের চারজন বিচারপতি করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এদিকে এক বিচারপতি সদ্য করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র করোনা আক্রান্ত। এর মধ্যে বিচারপতি পাদ্রিওয়ালার অসুস্থার কারণেই ডিএ মামলা পিছিয়ে যেতে চলেছে সোমবার।
2/5 বিচারপতিরা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের কজলিস্টে সামান্য পরিবর্তন করা হয়। কজলিস্টে জানানো হয়েছে যে ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হবে না। এই আবহে ডিএ মামলাকারীরা আশাহত হন। পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএ মেটানো সংক্রান্ত এই মামলা বারংবার পিছিয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্য সরকার এই মামলায় একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই এসপিএল আদৌ গ্রহণ করা হবে কি না, তা নিয়েই শুনানি হওয়ার কথা।
3/5 এদিকে সোমবার বিচারপতি পাদ্রিওয়ালা না থাকায় তাঁর পরিবর্তে বিচারপতি মাহেশ্বরীর সঙ্গে কয়েকটি মামলা শুনবেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। তবে ডিএ মামলা সেদিন উঠবে না। এর আগে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চে ডিএ মামলা উঠেছিল। তবে গতবছর ডিসেম্বরে ডিএ মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।
4/5 এদিকে সরকারি কর্মীরা আশা করেছিলেন যে অবশেষে সোমবারই ডিএ মামলার চূড়ান্ত শুনানি হয়ে যাবে। তবে না হওয়ায় হতাশ হন মামলাকারীরা। তবে কবে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হবে? এই বিষয়ে মামলাকারী সরকারি কর্মীদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার নির্ধারিত হবে যে কবে শীর্ষ আদালতে ফের ডিএ মামলার শুনানি হবে।
5/5 উল্লেখ্য, কলকাতা ডিএ ইস্যুতে হাই কোর্টের রায় চ্যলেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য সরকার। গত বছরের ২০ মে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দিতে মিটিয়ে দিতে হবে। তারপর রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যা ২২ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দিয়েছিল হাই কোর্ট। তারপর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দায়ের করে রাজ্য।