কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে দিল্লিতে ধরনায় বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ৫০০ সদস্য। সেই আন্দোলকে আগেই 'নাটক' আখ্যা দিয়ে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এবার ডিএ আন্দোলনের 'ভিত্তি' নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ ডঃ শান্তনু সেন।
1/5 উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে বিগত প্রায় ৭৫ দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একাধিকবার আক্রমণ শানানো হয়েছে ডিএ আন্দোলনকারীদের। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যদের 'চোর-ডাকাত' আখ্যা দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার বিরুদ্ধে গর্জেও উঠেছেন সরকারি কর্মচারীরা।
2/5 এই আবহে এবার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন দাবি করলেন 'ডিএ সাংবিধানিক অধিকার নয়।' এর নেপথ্যে তাঁর যুক্তিও রয়েছে। তিনি কেন্দ্রের ডিএ প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এর জন্য। কেন্দ্রের বয়ানকে হাতিয়ার করেই রাজ্য সরকারের ঢাল হয়ে দাঁড়ান তৃণমূল সাংসদ। অভিযোগ করেন, 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই ডিএ আন্দোলন করা হচ্ছে।'
3/5 শান্তনু সেন এই প্রসঙ্গে বলেন, 'দিল্লিতে ডিএ ধরনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ডিএ যদি সাংবিধানিক অধিকার হত তাহলে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে ঘোষণা করেছেন ১৮ মাসের ডিএ দেব না?' এদিলে শান্তনু সেনের এহেন মন্তব্যের নিন্দা করেন বিজেপি নেতা তথা কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তাঁর কথায়, আস ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতে এই ধরনের মন্তব্য।
4/5 প্রসঙ্গত, করোনাকালের ১৮ মাসের ডিএ বকেয়া রয়েছে সরকারি কর্মীদের। এই সময়কালে যে হারে ডিএ বৃদ্ধি হওয়ার কথা ছিল, তা একেবারে করে দিয়েছিল সরকার। ডিএ বৃদ্ধি আটকে না রাখলেও বর্ধিত হারে ডিএ বাবদ যে টাকা সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য, সেই টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রসঙ্গ তুলেই ডিএ-র 'অধিকার' নিয়ে পালটা প্রশ্ন তুলল তৃণমূল।
5/5 উল্লেখ্য, এর আগে সংসদে দাঁড়িয়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, করোনাকালের ১৮ মাসের বকেয়া ডিএ দিতে পারবে না সরকার। প্রসঙ্গত, করোনার সময় সরকারের ওপর আর্থিক বোধা কমাতে ২০২০ সালের জানুয়ারি, ২০২০ সালের জুলাই এবং ২০২১ সালের জানুয়ারির মহার্ঘ ভাতা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। পরে সেই ১৮ মাসে যে হারে ডিএ বাড়ার কথা, তা সরকার বাড়িয়েছিল, তবে এই ১৮ মাসের বর্ধিত হারের বকেয়া ডিএ সরকারি কর্মীদের দেয়নি সরকার।