1/5 আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের একাংশের আশঙ্কা, সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের পক্ষে রায় দিলেও সরকার ডিএ নিয়ে কোনও আইনি পদক্ষেপ করে বিষয়টিকে পিছিয়ে দেবে। এই আবহে আন্দোলন জোরদার করার দিকেই মন দিয়েছেন তাঁরা। এই আবহে আন্দোলনকারীদের ব্যাখ্যা, দিল্লিতে ধরনায় বসার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল তাঁদের। সে সময়তেই সুপ্রিম কের্টে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ফলে আন্দোলনকারীদের সকলেই থাকতে পারবেন রাজধানীতে।
2/5 প্রসঙ্গত, গতকাল সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। এই মামলার শুনানি হবে এপ্রিল মাসের ১১ তারিখ। উল্লেখ্য, অতিরিক্ত মামলার জেরে গতকাল ডিএ মামলার শুনানি হয়নি। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে এই ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল জানুয়ারি মাসে। তবে সেখানে রাজ্যের পক্ষ থেকে আবেদনে ভুল থাকায় শুনানি পিছিয়ে যায়। শুনানি পিছিয়ে মার্চ মাসের ১৫ তারিখ হবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে ১৫ এবং ১৬ তারিখ মামলার অত্যধিক চাপ থাকায় ফের এই মামলার শুনানি পিছিয়ে ২১ মার্চ করা হয়। তবে গতকালও তা পিছিয়ে যায়।
3/5 আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসার কথা আছে আন্দোলনকারীদের। এছাড়া আগামী ২৬ তারিখ রাষ্ট্রপতিকে গণহারে ইমেল করে ডিএ বঞ্চনার কথা তুলে ধরবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এর একদিন পর, ২৭ মার্চ গণ ইমেল করা হবে মুখমন্ত্রীকেও। তাতে সরকারি কর্মীরা জানাবেন, রাজ্য অচল হয়ে পড়লেও কর্মীরা কোনও ভাবে তার জন্য দায়ী থাকবেন না।
4/5 এদিকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ডিএ মেটানোর দাবিতে আগামী ৩০ মার্চ মহাসমাবেশ হবে সরকারি কর্মীদের। এর পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ওইদিন গণছুটি নিয়ে শিয়ালদহ এবং হাওড়া থেকে মিছিল হবে। সেই মিছিলে হেঁটে আন্দোলনকারীরা যোগ দেবেন শহিদ মিনারের ধরনামঞ্চে।
5/5 ডিএ আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, আদালতের দিকে নজর থাকলেও আন্দোলন বন্ধ করা হবে না। সরকারি কর্মীদরে সাফ কথা, যতদিন না তাঁদের দাবি সরকার মেনে নেবে, ততদিন আন্দোলন চলবে। আন্দোলনকারীদের কথায়, আদালতে মামলা করেছিল একটি সংগঠন। কিন্তু এখন ডিএ ইস্যুতে তাঁদের শক্তি বেড়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে ডিএ নিয়ে আন্দোলন করতে ৬০টি সংগঠনে একত্রিত হয়েছে। সেখান থেকেই এই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের গঠন।