ভোট বড় বালাই। লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল না। বেড়ে গেল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ। এই আবহে মার্চের শেষে অ্যাকাউন্টে বেতন ঢুকলেই বড় চমক অপেক্ষা করে আছে সরকারি কর্মীদের জন্য। এরই মাঝে আবার শিক্ষকদের জন্য এই 'উপহার' আরও মধুর হবে।
1/5 রাজ্যে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি বহু দিন ধরে। সেই দাবি এখনও মানেনি রাজ্য সরকার। তবে এবার একলাফে কেন্দ্রের অনেকটাই কাছে পৌঁছে গেলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়িয়ে ৪২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। এদিকে ইউজিসি, এআইসিটিই, আইসিএআর এবং জেএনপিসি-র অধীনে থাকা কর্মী এবং শিক্ষকদের ডিএ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।
2/5 মঙ্গলবার ডিএ বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তিনি জানান, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৪২.৫ শতাংশ করা হচ্ছে। আর ইউজিসি-র পে স্কেলে থাকা শিক্ষক এবং কেন্দ্রীয় হারে বেতন পাওয়া অন্যান্য কর্মীদের ডিএ ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে।
3/5 উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই এই রাজ্যে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করার দাবি উঠে আসছে সরকারি কর্মীদের তরফ থেকে। এই আবহে সরকার একটি কমিশন গঠনও করেছিল। তার মাথায় আছেন প্রাক্তন আমলা কে সুধাকর রাও। এই পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহ আগেই সুধাকর রাওয়ের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সমিতির সদস্যরা। কমিশনের প্রধানের কাছে সরকারি কর্মীরা বেতন, ভাতা বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি পেশ করেন।
4/5 এরই মাঝে কর্ণাটকে ডিএ বৃদ্ধি হল। লোকসভা ভোটের আগে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হোক না হোক, ডিএ বৃদ্ধি করে আপাতত প্রতিবাদী সরকারি কর্মীদের কিছু শান্ত রাখতে চাইছেন সিদ্দারামাইয়া। জানানো হয়েছে, ডিএ বৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকারের ১৭২৯.৭২ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রতি বছর। এদিকে জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এই ডিএ বৃদ্ধি। তাই দুই মাসের বকেয়া ডিএ ঢুকবে অ্যাকাউন্টে।
5/5 এদিকে কর্ণাটকের রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেরলের রাজ্য সরকার যে মডেলে বেতন-ভাতা বাড়িয়েছে, সেটাই অনুসরণ করা উচিত। উল্লেখ্য, এই রাজ্যের সরকার ২০২৩ সালের নভেম্বরে এই সপ্তম বেতন কমিশনের মেয়াদ ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এই আবহে কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়া এবং তা এখনই কার্যকর হওয়ার বিষয়ে সংশয় আছে অনেকের মনেই।