কয়েকদিন আগেই ডিএ-র দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ৪ জন সরকারি কর্মী। তাঁদের অনশন ২০০ ঘণ্টার গণ্ডি পার করে গিয়েছে আগেই। এই আবহে সোমবার থেকে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে পারেন সরকারি কর্মচারীরা।
1/5 প্রাথমিক ভাবে ডিএ অনশনে অংশ নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ১৫ জন সরকারি কর্মী। তাঁদের থেকে বেছে নেওয়া হয় ৪ জনকে। গত ২০ জানুয়ারি থেকে তাঁরাই অনশন শুরু করেছেন সরাকরের বিরুদ্ধে। বাংলার সরকারি কর্মীদের দাবি, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে তাঁদেরও। এরই মাঝে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ষাটোর্ধ্ব অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও গিয়েছেন। তবে আন্দোলন জারি আছে।
2/5 এই সবের মাঝেই ২৯ জানুয়ারি, সোমবার থেকে সরকারি কর্মীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হতে পারে। আন্দোলনকারীদের দাবি, যদি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দেওয়া হয়, পরবর্তীকালে অনশনকারীর সংখ্যা বাড়তে চলেছে। এদিকে ভাস্কর ঘোষ জানিয়েছিলেন যে ২৯ তারিখ থেকে লাগাতার ধর্মঘট করবেন সরকারি কর্মীরা। এছাড়া আরও কিছু পদক্ষেপ করার কথা বলেন তিনি। তবে সেই সব পদক্ষেপের বিষয়ে খোলসা করে তিনি কিছু বলতে চাননি। এদিকে ডিএ-র পাশাপাশি শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিও তোলেন ভাস্কর ঘোষরা। অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ নিয়েও সরব তাঁরা।
3/5 এদিকে গতমাসে বড়দিনের আবহে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে সেই বর্ধিত ডিএ। কেন্দ্রীয় হারে না হলেও ডিএ বৃদ্ধির ফলে কিছুটা স্বস্তি পান সরকারি কর্মীরা। বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাওয়ার কথা সরকারি কর্মীদের। তবে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে থাকা বিভিন্ন অস্থায়ী শিক্ষকের বেতন এক ধাক্কায় ৫ হাজার টাকা কমিয়ে দিয়েছে সরকার। এছাড়া বহু অস্থায়ী কর্মীরই ডিএ বাড়েনি বলে অভিযোগ।
4/5 এদিকে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করে মমতা বলেছিলেন, 'আমরা ইতিমধ্যেই ১২৫ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলাম। ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬৬৫ টাকা দেওয়া হয়েছে। চার বছরের মধ্যে আমরা নয়া বেতন কমিশন গঠন করেছি। নয়া পে স্কেলের আওতায় ২০১৯ সাল থেকে রাজ্য সরকার ছয় শতাংশ ডিএ দিয়েছে। সেজন্য চার বছরে ৪১৪৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।'
5/5 আর রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া দাবি করেছিলেন, 'সম্প্রতি চার সতাংশ ডিএ ঘোষণা হয়েছে। তার আগে দুই দফায় ৩ শতাংশ করে মোট ছয় শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়েছিল। পঞ্চম পে কমিশনের শেষ, ষষ্ঠ পে কমিশনের সূচনা পর্যন্ত ১২৫ শতাংশ যোগ করে দেওয়া হয়েছে বেসিক পে-র সাছে। আর এবার আরও ১০ শতাংশ মিলছে। মোট ১৩৫ শতাংশ হয়ে গেল।' তবে ডিএ আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, রাজ্য সরকারের হিসেবে হলে বকেয়া ডিএ তবে ৮২ শতাংশ।