বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > 6th Pay Commission Allowance in KMC: কর্মীদের ডিএ-র নামে 'কাঁচকলা', ওদিকে আধিকারিকের ‘আতিথেয়তা ভাতা’ বেড়েছে আটগুণ!
6th Pay Commission Allowance in KMC: কর্মীদের ডিএ-র নামে 'কাঁচকলা', ওদিকে আধিকারিকের ‘আতিথেয়তা ভাতা’ বেড়েছে আটগুণ! Updated: 20 Mar 2023, 10:49 AM IST Abhijit Chowdhury কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বিগত দিনে ডিএ আন্দোলন নিয়ে অনেক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। বলেছিলেন, 'যাঁদের আছে (সরকারি কর্মী), তাঁদের আরও পাইয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী তিনি নন'। সেই ফিরহাদেরই পুরসভায় অর্থসংকটের কারণে সময় মতো বেতন বা পেনশন না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবং সেখানেই এক পুরকর্তার 'আতিথেয়তা ভাতা' বেড়েছে আটগুণ। 1/5 সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, আট বছরে আটগুণ বেড়ে এক পুর আধিকারিকের আতিথেয়তা ভাতা বর্তমানে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা। বিষয়টি সামনে আসতেই স্বভাবতই বিতর্ক শুরু হয়েছে। মহম্মদ সেলিম আনসারি নামে ওই আধিকারিক ব্যক্তি রাজ্য সরকারের একাধিক দফতরে আইন আধিকারিকের দায়িত্ব পালন করছেন। কলকাতা পুরসভার মুখ্য আইন আধিকারিকর হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তাঁর আতিথেয়তা ভাতা নিয়েই এই বিতর্ক। উল্লেখ্য, চা বা স্ন্যাক্সের খরচ বাবদ ওই ভাতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ, আনসারির সঙ্গে দেখা করতে আসা অতিথিদের জন্য চা বা খাবার আনাতে এই ভাতা খরচ হওয়ার কথা। 2/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘আতিথেয়তা ভাতা’ বাবদ ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রতি মাসে ৪৫০০ টাকা বরাদ্দ ছিল মহম্মদ সেলিম আনসারির নামে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওই ভাতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজারে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, করোনাকালে যখন পুরসভার অফিস বন্ধ ছিল এবং পরে যখন খুব অল্প সংখ্যক লোক পুরসভায় আসতেন, তখনও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে আনসারির আতিথেয়তা ভাতা। প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে পুরসভায় লোকজনের আনাগোনা এত কম ছিল, সেখানে কীভাবে অতিথিদের চায়ের দাম মেটাতে মাসে এত হাজার হাজার টাকা খরচ হয়! 3/5 করোনার অতিমারির সময় দু'বার আতিথেয়তা ভাতা বেড়েছে আনসারির। এর জেরে ২০ হাজার থেকে তা ৩০ হাজার হয়েছিল। এবছর জানুয়ারিতে ফের তা একবার বাড়ল ৫ হাজার। ফলে বর্তমানে এই ভাতা ৩৫ হাজার। ২০১৫ সাল থেকে মোট ন’দফায় ভাতা বাড়ানো হয়েছে আনসারির জন্য। পুর কমিশনার বা মেয়রের অনুমোদনেই ৯ দফায় এই ভাতা বেড়েছে। 4/5 প্রতিবারই ভাতা বাড়ানোর জন্য পুর কমিশনারের কাছে চিঠি গিয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, মুখ্য আইন আধিকারিকের অফিসে অতিথির সংখ্যা বেড়েছে। তাই তাদের চা এবং স্ন্যাক্সের খরচ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভাতা বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। ন'বার ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে কমিশনারকে চিঠি লেখা হয়েছে মুখ্য আইন আধিকারিকের তরফে। এবং প্রতিবারই তা মঞ্জুর করা হয়েছে। কয়েকটি চিঠিতে অনুমোদনের স্বাক্ষর রয়েছে খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। 5/5 উল্লেখ্য, এবারও কয়েক কোটি টাকার ঘাটতিতে পুর বাজেট পেশ করেছেন মেয়র। ঘাটতির কারণ হিসেবে ষষ্ঠ বেতন কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের অভিযোগ, পুরসভার কোষাগারের হাল যখন করুণ, তখন এক আধিকারিকের কেবিনে আসা অতিথিদের পেছনে মাসে এত টাকা কীভাবে খরচ করার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে?