সরকারি কর্মচারীদের ডিএ আন্দোলন নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। আর এরই মধ্যে বিরোধীরাও এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে সরকারকে চাপে ফেলছেন। এরই মধ্যে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপি মুখপাত্র সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। এক টিভি চ্যানেলের প্যানেল আলোচনার সময় তিনি দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিবকে কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দেওয়া হয়।
1/5 সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ক্যামেরার সামনে দাবি করেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কথায় কেউ আর গুরুত্ব দেয় না। তিনি ডিএ নিয়ে ত্রিপুরা বা মেঘালয়তে কী বলে এলেন, তাতে কারও কিছু আসে যায় না। ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের মানুষ দেখাবে।' তিনি বলেন, 'আজ তৃণমূল কর্মীরা চিৎকার করছেন। তবে আমি নিশ্চিত, তাদের মধ্যে যারা সরকারি কর্মচারী, তারা ক্ষুব্ধ। তবে দলে থাকা মুশকিল হবে বা চাকরিতে সমল্যা হবে বলে তারা চুপ করে আছে।'
2/5 তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'ডিএ কি আটকাতে পারবে সরকার? এর আগে পার্শ্বশিক্ষক ইস্যুতে আদালতের কথা শুনতে হয়েছে। বিদ্যুৎ পর্ষদের ক্ষেত্রেও আদালতের কথা শুনে ডিএ দিতে হয়েছে। আদালত পাঁচ জেনারেল ম্যানেজারের মাইনে আটকে দিয়েছিল। এরপর আদালতের নির্দেশে প্রথম দফায় ডিএ দিলেও পুরোটা দেয়নি। পরে দ্বিতীবার আদালতের নির্দেশে পুরোটা দিতে হয়েছিল সরকারকে।'
3/5 এরপর তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, 'বলা হচ্ছে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য টাকা নেই। গৌতম সান্যালের জন্য টাকা থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবকে নিয়ে নবান্ন ২০২১ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় হারে তাঁকে ডিএ দিতে হবে। ২০১৬ সাল থেকে সেই হারে তাঁর ডিএ কার্যকর করা হয়। অর্থাৎ, বিগত ৫ বছরের বকেয়া তাঁকে দেওয়া হয়।'
4/5 এরপর বিজেপি মুখপাত্র অভিযোগ করেন, 'কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীরা রাজ্য সরকারি বাসভবনে থাকেন। তা সত্ত্বেও হাউজ রেন্ট ভাতা নেন বেতনের সঙ্গে।' সন্ময়বাবু অভিযোগ করেন, এইচআরএ বাবদ ১৬ লাখ টাকা তোলেন এই দুই উচ্চ পদস্থ কর্তা। বিজেপি নেতা বলেন, 'তাঁদের ক্ষেত্রে টাকা থাকে, তবে সাধারণ সরাকরি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে টাকা থাকে না এই সরকারের কাছে।'
5/5 এদিকে কর্মবিরতিতে যাওয়া সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার আমাদের এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়, আমাদের এইচআর-এর টাকা কেটে নিয়ে ডিএ বলছে। আসলে আমরা কোনও ডিএ-এই পাচ্ছিলাম না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। আমরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাই।