1/5 রাশিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত সতেন্দ্র সিওয়ালের গ্রেফতারি ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য়। সতেন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার। এদিন মীরাট থেকে উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড গ্রেফতার করে সতেন্দ্রকে। ইতিমধ্যেই কি দেশের বিদেশমন্ত্রক, প্রতিরক্ষামন্ত্রক, দূতাবাস, সেনার গোপন তথ্য সে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে সতেন্দ্রর বিরুদ্ধে। আইএসআইএর এজেন্ট হিসাবে সতেন্দ্রর কীর্তি নিয়ে তদন্তে নেমেছে দেশের তাবড় এজেন্সিগুলি। এজেন্সিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এস জয়শঙ্করের বিদেশমন্ত্রকও। Sputnik/Aleksey Nikolskyi/Kremlin via REUTERS
2/5 বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ‘ উত্তরপ্রদেশে সতেন্দ্র সিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে ওয়াকিবহাল বিদেশমন্ত্রক। যে মস্কোতে ভারতীয় দূতাবাসের সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্ট হিসাবে কর্মরত ছিল। তদন্তকারী এজেন্সিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিদেশমন্ত্রক।’ জানা গিয়েছে, সিওয়ালের কীর্তি সম্পর্কে এটিএসের কাথে ছিল নির্দিষ্ট সূত্রের খবর। তারপরই মীরাটে তার বাড়ি থেকে সিওয়ালকে গ্রেফতার করে এটিএস। . ( ছবিতে সতেন্দ্র সিওয়াল ANI Photo)
3/5 হাপুরের বাসিন্দা সতেন্দ্র সদ্য বাড়ি এসেছিল। সেই সময়ই তাকে পাকড়াও করে এটিএস। জানা গিয়েছে, অভিযোগের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার না করলেও, পরে সতেন্দ্র অভিযোগ মেনে নেয়। অভিযোগ, সে ভারতের বিদেশমন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, সেনার সম্পর্কিত নানান তথ্য পাকিস্তানে পাচার করত। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে পাকিস্তানের গুপ্তচর এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল সতেন্দ্র? তারও সামান্য হদিশ মিলছে। (PTI Photo) (PTI02_04_2024_000351B)
4/5 ২০২১ সাল থেকে মস্কোতে ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত সতেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রকের মাল্টি টাস্কিং স্টাফ হিসাবে সে নিয়োজিত ছিল কাজে। সে নিজে জেরার মুখে জানিয়েছে, অফিসারদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করত সে। তবে, সতেন্দ্র কীভাবে পাকিস্তানের গুপ্তচর হয়ে উঠল, প্রশ্নটা সেখানেও। জানা যাচ্ছে, হানিট্র্যাপের শিকার হয়ে সতেন্দ্র আইএসআইকে তথ্য পাচার করতে বাধ্য হত। যে হানিট্রাপের সঙ্গে সতেন্দ্রর আলাপ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের মাধ্যমে। মীরাটে এটিএসের ফিল্ড ইউনিটের জেরায় এই তথ্য সামনে এসেছে। (প্রতীকী ছবি ANI Photo/Shrikant Singh)
5/5 উল্লেখ্য, হাইভোল্টেদ মাধুরী গুপ্তা মামলার ১৪ বছর পর সতেন্দ্রর মামলাটি সামনে আসে। যে মাধুরী গুপ্তা পাকিস্তানে ছিলেন বহুদিন। তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ছিল। এরপর তিনি কয়েকদিনের ছুটিতে বাড়ি এলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মাধুরীর দাবি ছিল তিনি নির্দোষ। যদিও অভিযোগ ছিল যে, তাকে পাকিস্তানের অফসাররা ব্যবহার করে তথ্য হাতাচ্ছে। এরপর ২০২১ সালে ৬৪ বছর বয়সে মাধুরীর মৃত্যু হয়। সেই বছর থেকেই মস্কোতে সতেন্দ্র ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত। (প্রতীকী ছবি)