1/6 তাপপ্রবাহের জেরে তাপমাত্রা প্রায় রোজই নিজের রেকর্ড নিজে ভেঙে যাচ্ছে! তাপপ্রবাহের রক্তচক্ষু থেকে বাদ পড়েনি কলকাতাও। ৪০ ডিগ্রি ইতিমধ্যেই পার করে গিয়েছে শহর। গরমের জ্বালার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে, বিদ্যুতের চাহিদা। এরসঙ্গে দোসর হয়ে এসে বহু জায়গাতেই কারেন্ট ইফ নাজেহাল করে ছাড়ছে! এই অবস্থায় রাজ্যে ও কলকাতায় যে বিদ্যুতের চাহিদা হয়েছে, তার পরিসংখ্যান চক্ষু চড়কগাছ করার মতো!
2/6 এপ্রিলেই ৪০ ডিগ্রি পার করে গিয়েছে কলকাতার তাপমাত্রা। আর গরম এতা রেকর্ড গড়ছে না, সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদাও রেকর্ড গড়ে যাচ্ছে রাজ্যে। শুক্রবার সিইএসই এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২৭২৮ মেগাওয়াট। এমনই দাবি সূত্রের। এই অঙ্ক সিইএসইর এলাকায় সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে দিয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩ টে ১৫ মিনিট নাগাদ ছিল এই চাহিদার অঙ্ক। এদিকে, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা বা ডব্লিউবিএসইডিসিএল-এর পরিসংখ্যান বলছে, শুক্রবার রাত ১১ টায় বিদ্যুতের মোট চাহিদা ছিল ৯০৩৫ মেগাওয়াট, সেটিও সর্বকালীন রেকর্ড। উল্লেখ্য, গত বছর ডব্লিউবিএসইডিসিএল এর সর্বোচ্চ চাহিদা ছুঁয়েছিল ৯২০০ মেগাওয়াটের অঙ্ক। আর গত বছর সিইএসসি এলাকার সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২৬০৬ মেগাওয়াট।
3/6 এদিকে জায়গায় জায়গায় কারেন্ট অফ-এ নাজেহার মানুষ। শনিবার কলকাতার লাল ময়দান এলাকার বাসিন্দারা কারেন্ট অফএর জেরে নাজেহাল হয়ে রাস্তায় অবরোধ করেন। বেলগাছিয়া সেতুর কাছে মূল রাস্তায় এই প্রতিবাদ বিক্ষভের জেরে পাশে আরজি কর হাসপাতালে যেতে বেগ পেতে হয় অনেককে। ফলে গরমের কলকাতায় বাড়তি কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় যানজট! পরে পুলিশ এসে যানজট তোলে।
4/6 এদিকে, এপ্রিলে যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে মে জুন মাসে কী হতে পারে? আশঙ্কায় ভুগছেন মানুষ। মনে করা হচ্ছে এই গরমের ট্রেন্ড চলতে থাকলে মে জুন মাসে চাহিদা পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদের এলাকায় চাহিদা ১২ থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। সিইএসই এলাকায় তা ৫ হাজার মেগাওয়াট ছুঁতে পারে বলে দাবি করছে সূত্র। এই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির মাঝে আশ্বাসের বার্তা দিচ্ছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী। (Photo by Burhaan Kinu / Hindustan Times)
5/6 এদিকে সিইএসই ও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্তারা বলছেন, বিদ্যুতের যোগানে ঘাটতি নেই। সংস্থার দাবি,বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেও তা সামাল দেওয়া যাবে। যে সমস্যাগুলি হচ্ছে তা বিচ্ছিন্ন বলে দাবি করা হচ্ছে। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে থেকেই নজর রাখা হচ্ছে যাতে বিদ্যুতের যোগানে কোনও খামতি না থাকে। প্রতীকী ছবি। REUTERS
6/6 এক নামী সংবাদমাধ্যমেকে অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন,' চাহিদা আরও খানিকটা বাড়লেও নিরবিচ্ছিন্ন পরিষেবা দিতে সমস্যা হবে না।' এই নিয়ে সিইএসইর কর্তাদের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি, অন্য যে সমস্যা রয়েছে, তা দ্রুত সমাধানেরও বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)