বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Amit Shah on CAA in WB: এনআরসি-র আগে ফিরিয়ে নেওয়া হবে সিএএ-র? জানালেন শাহ, 'বাংলায় বিজেপি আসছে', হুঁশিয়ারি মমতাকে
Amit Shah on CAA in WB: এনআরসি-র আগে ফিরিয়ে নেওয়া হবে সিএএ-র? জানালেন শাহ, 'বাংলায় বিজেপি আসছে', হুঁশিয়ারি মমতাকে Updated: 14 Mar 2024, 10:58 AM IST Abhijit Chowdhury আইনে পরিণত হওয়ার দীর্ঘ ৪ বছর ৩ মাস পর অবশেষে দেশে কার্যকর হয়েছে সিএএ। তবে এই আইন নিয়ে এখনও মানুষের মধ্যে রয়েছে সংশয়। আবার অনেকেই এই আইন নিয়ে উৎফুল্ল। তবে এই সবের মাঝেই এই আইনকে কেন্দ্র করে চলছে জোর রাজনৈতিক তরজা। এই আবহে এবার সরাসরি মমতাকে বার্তা দিলেন অমিত শাহ। 1/6 সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ সিএএ নিয়ে নিজের এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। এরই সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গে সিএএ কার্যকর হতে দেবেন না। তাঁর অভিযোগ, সিএএ-র মাধ্যমে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। সঙ্গে এনআরসি নিয়েও বড় দাবি করেছেন মমতা।
2/6 এই সব অভিযোগ, এবং দাবির জবাবে আজ অমিত শাহ মুখ খুলেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিষয়ে বলেছেন, 'সিএএ অস্বীকার করা বা না-মেনে চলার কোনও অধিকার নেই রাজ্যগুলির। সংবিধানের ১১ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়মকানুন প্রণয়নের সব ক্ষমতাই সংসদের। এটা কেন্দ্রের বিষয়, রাজ্যের নয়। আমার মনে হয়, নির্বাচনের পর সবাই সহযোগিতা করবে। ওরা তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।' 3/6 এদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা বাঙালি হিন্দুদের অভয় দিয়ে অমিত শাহ এর আগে দাবি করেছিলেন, আগে সিএএ আসবে। এর মাধ্যমে সব শরণার্থীরা নাগিরকত্ব পেলে এনআরসি করা হবে গোটা দেশে। তখন অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হবে। এই আবহে অনেকের মনেই আবার প্রশ্ন উঠেছে, সিএএ কি কয়েকদিন পরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে? এর জবাবে শাহ জানালেন, সিএএ কখনও ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। 4/6 এদিকে মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে শাহ বলেন, 'খুব শীঘ্রই বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ ক্ষমতায় আসবে এবং সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যদি তোষণের রাজনীতি জারি রাখেন এবং জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেও বিরোধিতা করেন... আপনি যদি তোষণের রাজনীতি করে অনুপ্রবেশের অনুমতি দেন এবং আপনার জন্য যদি শরণার্রাথী নাগরিকত্ব না পান, তাহলে মানুষ আপনার সঙ্গে থাকবে না। আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তি আর অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে পার্থক্য জানেন না তিনি।' 5/6 এদিকে সিএএ নিয়ে বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে শাহ বলেন, 'আমাদের দেশে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা আমাদের সার্বভৌম অধিকার, আমরা এর সঙ্গে কখনওই আপস করব না। বিরোধীদের আর কোনও কাজ নেই। ওদের ইতিহাসে আছে, যা ওরা বলে, তা করে না। আর মোদীর ইতিহাস হল, আমরা যা বলি তা পাথরে খোদাই হয়ে যায়।' 6/6 উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যে সব হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পারসি, শিখ এবং জৈন ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের থেকে বিচারিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্যে একটি পোর্টাল চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ধর্মীয় কারণে বিচারিত শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্বের জন্যে আবেদন করতে পারবেন।