গতকালই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ১৫ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। এই আবহে দিল্লির তিহাড় জেলে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানে বেশ কিছু 'সুযোগ সুবিধা' দেওয়া হবে তাঁকে। বাড়ির খাবার, বালিশ, চকোলেট পাবেন কেজরি।
1/5 আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঠিকানা হবে তিহাড়ের ২ নং জেলের ১৪ বাই ৮ ফুটের একটি সেল। এই ব্লকেই আছেন কেজরির প্রাক্তন সতীর্থ মণীশ সিসোদিয়া এবং তেলাঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর মেয়ে তথা বিআরএস নেত্রী কে কবিতা। এই তিনজনই দিল্লি আবগারি মামলায় অভিযুক্ত।
2/5 জানা গিয়েছে, জেলে বাড়ি থেকে আনা বালিশ, চাদর, কম্বল ব্যবহার করতে পারবেন কেজরিওয়াল। এছাড়া বাড়ির খাবারও খেতে দেওয়া হবে তাঁকে। এদিকে কেজরিওয়ালের সুগার লেভেল নীচে থাকায় তাঁর কাছে অনেক চকোলেট রাখা থাকবে। তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখতে মেডিক্যাল সরঞ্জাম রাখা থাকবে তাঁর সেলেই।
3/5 এদিকে জেলে থাকার সময় স্ত্রী সুনীতার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। বেলা সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই দুপুরের খাবার দেওয়া হবে কেজরিওয়ালকে। ডাল, সবজি, পাঁচটি রুটি এবং ভাত থাকবে মেনুতে। দুপুর ৩টের পর থেকেই নিজস্ব সেলেই বন্দি থাকতে হবে কেজরিওয়ালকে। এরপর দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ দেওয়া হবে চা এবং বিস্কুট।
4/5 এদিকে ভগবত গীতা, রামায়ণ এবং হাউ প্রাইম মিনিস্টার্স ডিসাইড বইগুলি জেলে পড়তে দেওয়া হবে কেজরিকে। এদিকে বিকেলে আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হবে কেজরিওয়ালকে। তবে সরকারি আমলাদের সঙ্গে কেজরিকে বৈঠক করতে দেওয়া হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তিহাড়ের বর্তমান নিয়মে তা করা যায় না। এদিকে বিকেল সাড়ে ৫টাতেই কেজরিকে ডিনার করতে দেওয়া হবে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে আবার নিজের সেলে যেতে হবে কেজরিকে।
5/5 এদিকে জেলে টিভি দেখার অনুমতি পাবেন কেজরিওয়াল। খবর, খেলা, বিনোদনের ১৮ থেকে ২০টি চ্যানেল দেখার অনুমতি রয়েছে তাঁর। এদিকে তিনি গলায় একটি ধর্মীয় লকেট পরেন। সেটি পরে থাকার অনুমতি রয়েছে কেজরির কাছে। এছাড়া জেলের সেলে চেয়ার-টেবিল দেওয়া হবে কেজরিওয়ালকে।