1/4 তাঁর রিপোর্টিং, ‘সীমা পার করেছে’, এমন অভিযোগে তাঁকে ভারতের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হল না বলে অভিযোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়া ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের সাংবাদিক অবনী দিয়াজ। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ঝড় তুলে তিনি দাবি করেছেন, তাঁকে ‘হঠাৎ’ করে ভারত ছাড়তে হয়েছে। এর আগে, তিনি কানাডায় অবস্থিত খলিস্তানপন্থী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন। অবনীর দাবি, ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের নির্দেশে তা ইউটিউবে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। যদিও অবনীর অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাওয়ার কারণ নিয়ে যদিও দিল্লির সূত্র অন্য এর কারণের কথা তুলে ধরছে।
2/4 এবিসি নিউজের সাউথ এশিয়া ব্যুরো চিফ অবনী সেখানে বহু বছর কর্মরত। তাঁর হঠাৎ করে অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাওয়া নিয়ে, অবনী এক পোস্টে দাবি করেছেন,' ভারতীয় মন্ত্রকের নির্দেশের কারণে আমাদের নির্বাচনী (ভোটের খবর করার) স্বীকৃতি দেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছিল। আমরা জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার প্রথম দিনেই আমরা ফিরে এসেছে, যাকে মোদী গণতন্ত্রের মা বলেন।' তাঁর অভিযোগ, ‘অস্ট্রেলিয়ান সরকারের হস্তক্ষেপের পর, আমি আমার ফ্লাইটের ২৪ ঘন্টারও কম সময় মাত্র দুই মাসের এক্সটেনশন পেয়েছি।’
3/4 এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী বলছেন, অবনী দিয়াজ যে বলছেন যে তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়নি বা তাঁকে ভারতের সাধারণ নির্বাচন কভার করতে দেওয়া হয়নি, তাঁকে জোর করে ভারত থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে, এগুলি ‘সঠিক নয়।’ দিল্লির ওই ভারতীয় অফিশিয়ালের বক্তব্য, ‘তিনি ভারত ছেড়েছেন কারণ অস্ট্রেলিয়ার তাঁর কাছে আরও একটি চাকরির অফার রয়েছে সেই সময়সীমার মধ্যে, তাঁর ভারত ছাড়ার কারণ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়, ভিসার ইস্যুর বিষয় নয়।’
4/4 উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই, কানাডায় খলিস্তানপন্থী হরদীপ সিং নিজ্জরকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওই মিডিয়ার সাংবাদিক অবনী। যে তথ্যচিত্র ইউটিউব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবনীর দাবি ছিল, এই তথ্য চিত্র ভারতের টেলিকম মন্ত্রকের নির্দেশে সরানো হয়েছে ইউটিউব থেকে। এরপর এবিসির অভিযোগ ছিল, পঞ্জাবে ক্রিমিনাল ইন্টালিজেন্স ডিপার্টমেন্ট থেকে অবনীকে জেরা করা হয়েছে। এমনকি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ইভেন্ট কভার থেকেও অবনীকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অবনীর তথ্যচিত্র ‘শিখস, মার্ডার অ্যান্ড স্পাইজ’ ২১ মার্চ ইউটিউবে আসে, তারপর ২৪ মার্চ তা ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য চিঠি যায় এবিসির কাছে,বলে খবর।