বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > CAG Report on WB: 'শ্রী'-'সাথীদের' চক্করে হতশ্রী দশা রাজকোষের, বাজেটের বাইরে গিয়ে ঋণ বাংলার, দাবি CAG রিপোর্টে
CAG Report on WB: 'শ্রী'-'সাথীদের' চক্করে হতশ্রী দশা রাজকোষের, বাজেটের বাইরে গিয়ে ঋণ বাংলার, দাবি CAG রিপোর্টে Updated: 04 Feb 2024, 09:40 AM IST Abhijit Chowdhury ২০২১ সালে তৃণমূলের সবথেকে বড় 'সাথী' ছিল স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো জনমুখী প্রকল্প। এরই সঙ্গে কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পও সরকার চালিয়েছে এই সময়কালে। সাধারণ মানুষ এই সব প্রকল্পে অনেক লাভবান হয়েছে। তবে এবার এই সব প্রকল্প নিয়েই বিস্ফোরক দাবি করা হল সিএজি রিপোর্টে। 1/5 এক দৈনিক সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাজেটের বাইরে গিয়ে ঋণ নিয়ে এই সব জনমুখী প্রকল্প চালিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রসঙ্গত, সেই বাম জমানা থেকেই শোনা যায়, বাংলার ওপর প্রচুর ঋণের বোঝা। এই ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝাতে বছর বছর আরও ঝুঁকে পড়ছে বাংলা। আর সিএজি রিপোর্টে এবার দাবি করা হল, কন্যাশ্রী-রূপশ্রীর মতো প্রকল্প চালাতে বাজেটের বাইরে গিয়ে ঋণ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। 2/5 সিএজি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের জন্য ৪৩১২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। এই ঋণের হিসেব অবশ্য বাজেটে নেই। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাজকোষ ঘাটতি বাড়ছে। রাজ্যের জিডিপির তুলনায় এই ঘাটতির হার ঊর্ধ্বমুখী বলে উল্লেখ করা হয়েছে সিএজি রিপোর্টে। আর সেই ঘাটতি মেটাতে রাজ্য সরকার বাজার থেকে আরও ধার নিচ্ছে। তবে নতুন যে ঋণ নেওয়া হচ্ছে, তর বেশিরভাগটাই খরচ হচ্ছে পুরনো ঋণ শোধ করতে। এই আবহে রাজ্যের হাতে আর টাকা থাকছে না। 3/5 রিপোর্ট বলছে, স্বাস্থ্য দফতরের সংস্থা স্বাস্থ্যসাথী সমিতির মাধ্যমে ৭২০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল ২০২০-২১ অর্থবর্ষে। এই অর্থ খরচ হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালাতে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা উন্নয়ন উদ্যোগের মাধ্যমে ১১২২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয় ২০২০-২১ সালে। সেই টাকা খরচ হয়েছিল কন্যাশ্রী প্রকল্পে। এদিকে একই ভাবে রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য ৪৮৫ কোটি টাকা ধার নেওয়া হয়েছিল। 4/5 এদিকে পশ্চিমবঙ্গ তফসিলি জাতি-জনজাতি-ওবিসি উন্নয়ন ও অর্থ নিগমের মাধ্যমে ৪৯১ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল। তফসিলি বন্ধু, জয় জোহার পেনশন প্রকল্পে তা খরচ করা হয়েছিল। এদিকে কৃষকদের জন্য বাংলা স্বাস্থ্য বিমা যোজনা, আদিবাসীদের জয় বাংলা প্রকল্পের জন্যেও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে এভাবে ঋণ নেয় রাজ্য সরকার। 5/5 এদিকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এই সব জনমুখী প্রকল্পের জন্য যে ৪৩১২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ১০৮৫ কোটি টাকা এখনও শোধ করতে পারেনি রাজ্য সরকার। এদিকে এভাবে বাজেট বহির্ভূত ভাবে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ঋণ নিলে বাজেটে তার হিসেব থাকছে না। এর জেরে বিধানসভার নজরদারির বাইরেই এই ঋণ নেওয়া অব্যাহত থাকছে। সিএজি রিপোর্ট বলে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে নেওয়া ঋণের ৮০ শতাংশই খরচ হয়েছিল পুরনো ঋণ শোধ করতে।