ন্যাশনাল পোস্ট-এর খবর অনুযায়ী, ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয়তা ও পাল্টা হামলার আশঙ্কার জেরে কানাডা তাঁকে সেদেশে প্রবেশ করার অধিকার দিয়েছে। জানা গিয়েছে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম কলমজিৎ রাম।
1/5 কয়েক দশক ধরে তিনি ভারতের বুকে আশ্রয় দিয়ে গিয়েছেন খলিস্তানি জঙ্গিদের। এমনই এক অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কানাডায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ট্রুডো সরকার। উল্লেখ্য, খলিস্তান পন্থী নেতা নিজ্জরের হত্যায় ভারতের হাত থাকার অভিযোগ তুলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো দাবি করেন। এরপর তা জোরালো ভাষায় নস্যাৎ করে দিল্লি। পরে, সম্প্রতি এক খবরে জানা যায় যে, কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মার্কিন সফরে গিয়ে গোপন বৈঠক হয়। ফলে ঘটনা ঘিরে বরফ গলার আশা করা হয়েছিল। তারপরই কানাডা ওই জঙ্গি মদতকারী ব্যক্তিকে প্রবেশাধিকার দেওয়ার পথে হাঁটে। ফলে জল্পনা চড়ছে।
2/5 ন্যাশনাল পোস্ট-এর খবর অনুযায়ী, ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয়তা ও পাল্টা হামলার আশঙ্কার জেরে কানাডা তাঁকে সেদেশে প্রবেশ করার অধিকার দিয়েছে। জানা গিয়েছে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম কলমজিৎ রাম। তিনি ভারতীয় নাগরিক। কানাডার ইমিগ্রেশন ও রিফিউজি বোর্ড ট্রাইবুনালs থাকা এক অফিসারের মতে, কলমজিৎকে সেদেশে না ঢুকতে দেওয়ার মতো কোনও প্রেক্ষাপট ছিল না। তিনি খালিস্তানি জঙ্গিদের সামগ্রিক সমর্থন ও আশ্রয় দিয়েছেন, বলে তাঁর কানাডা প্রবেশ করানো যাবে না, এমন যুক্তি নস্যাৎ হয়েছে।
3/5 জানা গিয়েছে, যেহেতু কলমজিতের আতঙ্ক রয়েছে, তাঁর ওপর হামলা হতে পারে ও তাঁর প্রয়োজন রয়েছে, তাই কানাডা তাঁকে সেখানে প্রবেশাধিকার দিয়েছে। জানা গিয়েছে, কানাডার যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার দ্বারা এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। তথ্য় বলছে, খালিস্তানি জঙ্গিদের, ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত আশ্রয় দিয়ে গিয়েছেন কলমজিৎ। সেই তথ্য তিনি ইন্টারভিউতে কানাডার বর্ডার সিকিউরিটির কাছে জানিয়েছিলেন। সেই মামলা কানাডার কোর্টে গড়ায়। তারপর আসে ট্রাউবুনালের সিদ্ধান্ত।
4/5 এখানেই শেষ নয়। অভিযুক্ত কলমজিৎ সাফ জানিয়েছেন যে, তিনি খলিস্তানপন্থী নেতা জার্নেইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের কট্টর সমর্থক। তিনি তাঁর আদর্শ মেনে চলেন। যেখানে কানাডার প্রশাসনের কাছে কলমজিৎ স্বীকার করেছেন যে সশস্ত্র খালিস্তানি জঙ্গিদের তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন, সেখানে তাঁর কানাডা প্রবেশ দিল্লি কোন চোখে নেয়, সেদিকে তাকিয়ে কূটনৈতিক মহল।
5/5 এদিকে, সদ্য এক সংবাদপত্রের খবরে প্রকাশিত হয়েছে যে, ওসমার্কিন সফরে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কথা বলেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী জলির সঙ্গে। সেই বৈঠক রুদ্ধদ্বার ও গোপনে হয়েছে বলেও খবর। এদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো সদ্য জানিয়েছেন যে, তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় আগ্রহী। সম্পর্ক তলানিতে যাক, সেটা তিনি চান না। এরপর কানাডার পদক্ষেপ নিয়ে উঠছে বহু প্রশ্ন। (Representational photo)