কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বিগত ৩৭৬ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ছাতার তলায় এই আন্দোলন চলছে। সম্প্রতি সেনার নির্দেশে আন্দোলনকারীদের মঞ্চ খুলতে হয়েছে। আর গতরাতে ডিএ আন্দোলনকারীদের ধরনা মঞ্চে গিয়ে উপস্থিত হয় পুলিশ।
1/6 সোমবার রাতে শহিদ মিনারের সামনে ডিএ ধরনা মঞ্চে গিয়ে পৌঁছায় ময়দান থানার পুলিশ। ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশ গিয়ে আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেছে। তবে যৌথ মঞ্চের সদস্যরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে আন্দোলনস্থল ত্যাগ করেননি। পরে পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়। রাতভর সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান সরকারি কর্মীরা।
2/6 জানা গিয়েছে, গতকাল পুলিশের সঙ্গে ডিএ আন্দোলনকারীদের বচসা হয়েছিল। আন্দোলনকারীদের দাবি, ময়দান থানার পুলিশ একটা নোটিস নিয়ে গতকাল রাতে হাজির হয় ডিএ ধরনা মঞ্চে যান। পুলিশ নাকি বলে, সেই স্থানে ডিএ আন্দোলনে সেনার আপত্তি রয়েছে। এই আবহে সেনার আপত্তি সংক্রান্ তকাগজ দেখতে চান আন্দোলনকারীরা। তখন পুলিশ তা দেখাতে পারেনি।
3/6 এদিকে সেনার আপত্তি সংক্রান্ত কাগজ পুলিশের কাছে না থাকলেও আন্দোলনকারীদের কাছে ছিল উচ্চ আদালতের নির্দেশনামা। আন্দোলনকারীরা আদালতের সেই নির্দেশ পুলিশকে দেখায়। এরপরে পুলিশের হাতে আন্দোলনকারীরা একটি চিঠিও তুলে দেন। পুলিশ তা গ্রহণ করে এবং আন্দোলনস্থল ছেড়ে দেয়।
4/6 ডিএ আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, পুলিশকে দেওয়া চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, রাতে যে ডিএ আন্দোলনকারীরা উক্ত স্থানে অবস্থান করতে পারবেন না, সেই কথা আদালতের নির্দেশনামায় কোথাও উল্লেখ করা নেই। এর আগে পুলিশের যুক্তি ছিল, হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সেনার জায়গায় রাতে ডিএ আন্দোলনকারীরা অবস্থান করতে পারেন না। তবে আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশের একবছর পর গিয়ে কেন পুলিশের হঠাৎ এই কথা মনে হল?
5/6 উল্লেখ্য, রবিবার সকালে ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চ খোলা শুরু হয়েছিল। আন্দোলনতর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সরকারি কর্মচারীদের অভিযোগ রাজ্য সরকার চক্রান্ত করে ডেকরেটার্সকে দিয়ে মঞ্চ খুলে দিচ্ছে। অবশ্য এর আগে শনিবার বিকালে সেনার তরফে এক প্রতিনিধি দল এসে আন্দোলকারীদের সঙ্গে কথা বলেছিল এবং তাদের ধরনা তুলতে বলেছিলেন। সঙ্গে আন্দোলনকারীদের নোটিশও ধরিয়েছিলেন সেনা আধিকারিকরা।
6/6 এই আবহে ডিএ আন্দোলনকারীদের অন্যতম 'মুখ' তথা যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীই কলকাঠি নেড়ে তাঁদের আন্দোলনের মঞ্চ খুলিয়েছেন। কলকাতা পুলিশের কিছু আধিকারিক সেনাকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে বলে তাঁর দাবি। এই আবহে ফের হাই কোর্টে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। প্রয়োজনে নবান্নের সামনে অনশনে বসা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।