হলদিরাম পর্যন্ত মেট্রো চালুর স্বপ্ন অধরা থাকতে পারে। কারণ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রুটের সম্প্রসারণের জন্য রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছে না বলে দাবি করল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল)।
1/5 ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া পুরোপুরি বিশ বাঁও জলে চলে গেল। হলদিরাম পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সম্প্রসারণের যে পরিকল্পনা ছিল, তাতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের (কেএমআরসিএল) দাবি, হলদিরাম পর্যন্ত রুট সম্প্রসারণের জন্য ৫০ শতাংশ অর্থ দিতে নারাজ রাজ্য সরকার। সেই পরিস্থিতিতে ওই প্রকল্প নিয়ে জট তৈরি হয়েছে। ভেস্তেও যেতে পারে সেই প্রকল্প। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
2/5 এমনিতে দু'দিকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সম্প্রসারণের কথা ছিল। গঙ্গার ওপারে হাওড়া ময়দান থেকে সাঁতরাগাছি পর্যন্ত লাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আর গঙ্গার এপারে হলদিরাম পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রুট এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেইমতো করা হয়েছিল সমীক্ষা। যে সমীক্ষার রিপোর্টও হাতে এসে গিয়েছিল। (ছবিটি প্রতীকী)
3/5 বুধবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে কেএমআরসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভিকে শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, হলদিরাম পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সম্প্রসারণের জন্য ২,৩৬৫ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছিল। তাঁর দাবি, ওই অর্থের ৫০ শতাংশ দেওয়ার কথা ছিল রাজ্য সরকারের। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই টাকা দিতে রাজি হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন কেএমআরসিএল ম্যানেজিং ডিরেক্টর। (ছবিটি প্রতীকী)
4/5 কেএমআরসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দাবি করেছেন, রাজ্যের থেকে অর্থ পাওয়া না যাওয়ায় হলদিরাম পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সম্প্রসারণের কাজ এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে জট তৈরি হয়েছে। ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্যের কাছে আরও একবার আবেদন জানানো হবে। তারপরও যদি নিজের অবস্থানে অনড় থাকে রাজ্য, তাহলে অর্থের জন্য রেলওয়ে বোর্ডের কাছে অনুরোধ করা যাবে। রেলবোর্ডের তরফে অর্থ দেওয়া হলে হলদিরাম পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সম্প্রসারণের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। (ছবিটি প্রতীকী)
5/5 আর যদি রেলবোর্ডের থেকে টাকা না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে গঙ্গার এপারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সল্টলেক সেক্টর ফাইভেই থমকে থাকবে। অন্যদিকে, সাঁতরাগাছিতে মেট্রো চালু করার জন্য স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে পারে বলে কেএমআরসিএলের তরফে জানানো হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী)