আজ আদানি এন্টারপ্রাইজের ৩১তম বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। সেই সভায় নিজের সংস্থার শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন গৌতম আদানি। সেখানেই হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট ইস্যুতে মুখ খোলেন গৌতম আদানি। তিনি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন।
1/5 আজ বার্ষিক সাধারণ সভায় গৌতম আদানি ফের একবার অভিযোগ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তার 'মিথ্যা' রিপোর্টের মাধ্যমে কোম্পানিকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছে। গৌতম আদানি বলেন, 'এই বছর, একটি মার্কিন শর্ট-সেলার আমাদের শেয়ার শর্ট করার (বেশি দামে শেয়ার ভাড়া নিয়ে তা বিক্রি করা। এবং শেয়ারের দাম পড়ে গেলে সেই শেয়ারই আবার কিনে তা ফিরিয়ে দেওয়া। এবং যে দামে শেয়ার ভাড়া দেওয়া হয়েছিল এবং তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই দুইয়ের ব্যবধানটাই শর্ট সেলারের লভ্যাংশ) জন্য একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ঠিক যখন আমরা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ফলো-অন পাবলিক অফার ছাড়ার পরিকল্পনা করছিলাম, তখনই এটা হয়।'
2/5 গৌতম আদানি বলেন, 'হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে ইচ্ছে করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল। ভিত্তিহীন অভিযোগেরও উল্লেখ ছিল সেই রিপোর্টে। তাদের বেশিরভাগই ২০০৪ থেকে ২০১৫-র মধ্যকার। আর এই সব অভিযোগেরই নিষ্পত্তি হয়েছে। এই রিপোর্টটি ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রকাশ করা হয়। এই রিপোর্টের বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল আমাদের খ্যাতি নষ্ট করা।'
3/5 আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পরই তুলকালাম কাণ্ড হয়েছিল দেশের বাণিজ্য মহলে। ধস নেমেছিল আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে। এই পরিস্থিতিতে আদানিদের মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দিয়েছিল। সেই কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট সম্প্রতি জমা দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টে।
4/5 সুপ্রিম কোর্টের গঠিত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, 'এখনও পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারের দাম হেরফের করার কোনও প্রমাণ মেলেনি। এছাড়া একটি নির্দিষ্ট কোনও পার্টির মাধ্যমে একাধিকবার ভুয়ো ট্রেডিং বা ওয়াশ ট্রেডের কোনও প্যাটার্ন পাওয়া যায়নি। ব্যবসায় জালিয়াতিরও কোনও সুসংগত প্যাটার্ন প্রকাশ্যে আসেনি।' অবশ্য কমিটির তরফে জানানো হয়, পূর্ণাঙ্গ তদন্তে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
5/5 প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বিদেশে বেনামি সংস্থা খুলে নিজেদের শেয়ার নিজেরাই কিনে নিত আদানি গোষ্ঠী। এভাবে বাজারে ভুয়ো চাহিদা সৃষ্টি করে শেয়ারের দাম চড়ানো হত। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে আদানি গোষ্ঠী। তবে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে এসেছে আদানি গোষ্ঠী। এদিকে মোট ১১টি দেশের তদন্তকারী সংস্থার থেকে আদানি সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে সেবি।