প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সুখবর দিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। সার্বভৌমত্বের কারণে চিনের যে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ আপত্তি আছে নয়াদিল্লির, সেই প্রকল্প থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম তুলে নিল ইতালি। কারণ ওই বিতর্কিত করিডর যাচ্ছে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে।
1/5 চিনের স্বপ্নের প্রকল্প থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম তুলে নিল ইতালি। বুধবার ইতালির সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, চিনের 'বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' থেকে বেরিয়ে এসেছেন জর্জিয়া মেলোনিরা। মিলানের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যে সেই মর্মে বেজিংকে চিঠি দিয়েছে ইতালি। যদিও সেই রিপোর্ট নিয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এক্স @GiorgiaMeloni ও রয়টার্স)
2/5 এমনিতে জি৭ গোষ্ঠীর প্রথম দেশ হিসেবে ২০১৯ সালে চিনের সেই প্রকল্পে যোগ দিয়েছিল ইতালি। যে প্রকল্পের ফলে পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত হবে বলে দাবি বেজিংয়ের তরফে দাবি করা হয়। তৎকালীন ইতালির শাসক দলের দাবি ছিল, সেই প্রকল্পের ফলে চিনের সঙ্গে ব্যবসা বাড়বে। আর গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো তৈরির জন্য বিনিয়োগ আসবে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে রয়টার্স)
3/5 যদিও ইতালির তৎকালীন শাসক দলের সেই দাবির সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল ছিল না। কারণ ওই সময়ের মধ্যে চিনের সঙ্গে ইতালির বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ২১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৫১.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে ঠেকেছিল। আর ইতালির বন্দরে বিনিয়োগ নিয়ে যে হইচই হয়েছিল, সেটাও ফাঁপা আওয়াজ ছিল। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে রয়টার্স)
4/5 প্রথম থেকেই চিনের সেই স্বপ্নের প্রকল্পের বিরোধিতা করেছিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি। যিনি সেইসময় বিরোধী দলে ছিলেন। মাসকয়েক আগে তাঁর সরকারের বিদেশমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি জানান যে ওই চুক্তির ফলে ইতালির লাভ হয়নি। আর তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে চিনের স্বপ্নের প্রকল্প থেকে নাম তুলে নিল ইতালি। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এপি)
5/5 ঠিক সেই বিষয়টা তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, চিনের সঙ্গে ওই চুক্তি করে বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। তবে নিজেদের মুখ বাঁচানোর জন্য বেজিং দাবি করতে পারে যে আমেরিকার চাপে পড়ে চিনের স্বপ্নের প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএফপি)