হিমাচলপ্রদেশের একমাত্র রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয় প্রায় নিশ্চিত ছিল। কারণ বিধানসভায় তাঁরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কংগ্রেসের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। তা সত্ত্বেও নির্বাচনের ফলাফল 'টাই' হয়। অর্থাৎ, সমসংখ্যক ভোট পান দুই প্রার্থী। তবে শেষ পর্যন্ত হিমাচলে জয়ী হয় বিজেপি। কীভাবে?
1/5 গতকাল হিমাচলপ্রদেশে রাজ্যসভার একমাত্র আসনের নির্বাচনে টানটান উত্তেজনা দেখা যায়। উল্লেখ্য, ৬৮ আসন বিশিষ্ট হিমাচল বিধানসভায় সরকার পক্ষে আছেন ৪৩ জন বিধায়ক। এর মধ্যে কংগ্রেস বিধায়ক ৪০ জন, এবং নির্দল বিধায়ক ৩ জন। অপরদিকে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা হল ২৫। এই আবহে রাজ্যসভার একমাত্র আসনে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত ছিল অঙ্কের নিরিখে।
2/5 তবে ক্রস ভোটিংয়ে হিমাচলের থেকে 'নিশ্চিত' রাজ্যসভা আসনটি হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের। দাবি করা হচ্ছে, শাসক গোষ্ঠীর ৯ জন বিধায় বিজেপির প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। এর ফলে কংগ্রেসের প্রাপ্য ভোট দাঁড়ায় ৩৪-এ। বিজেপির প্রার্থীও পান ৩৪টি ভোট। এই আবহে নির্বাচনী বিধির ৭৫(৪) নং নিয়ম অনুসরণ করে জয়ী প্রার্থীর ঘোষণা করা হয়।
3/5 কী বলছে নির্বাচনী বিধির ৭৫(৪) নং নিয়ম? দুইয়ের অধিক রাজ্যসভা প্রার্থীর প্রাপ্য ভোট যদি সমান হয়, তাহলে যে প্রার্থী কম সংখ্যক প্রথম বাছাই ভোট পেয়েছেন, তিনি বাদ পড়ে যান। এরপর বাকি দুই প্রার্থীর মধ্যে 'টস' হয়। তবে হিমাচলে যেহেতু একটি আসনের জন্যেই লড়াই হচ্ছিল, তাই এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপের প্রয়োজন পড়েনি। প্রথম বাছাই ভোটের সংখ্যাটা দুই প্রার্থীর ক্ষেত্রেই স্বভাবত সমান ছিল।
4/5 এদিকে দুই প্রার্থীর মধ্যে 'টস' কীভাবে হয়? নিয়ম অনুযায়ী, রিটার্নিং অফিসার ব্যালট বাক্সে দুই প্রার্থীর নাম লেখা চিরকুট ফেলে দেন। এরপর সেখান থেকে একটি চিরকুট তুলে নেওয়া হয়। এখানে খানিকটা ব্যতিক্রম আছে। যে নামের চিরকুট তুলে নেওয়া হয়, তিনি হেরে যান। আর বাক্সে যে ব্যক্তির নামাঙ্কিত চিরকুট থাকে, সেই প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
5/5 গতকাল হিমাচলেও এমনটাই হয়েছিল। এবং কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভির নাম লেখা চিরকুট বেরিয়ে এসেছিল ব্যালট বাক্স থেকে। তাই তিনি হেরে যান। আর বাক্সে তখনও পড়েছিল বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজনের নাম লেখা কাগজ। তাই তিনি জয়ী হন। এদিকে 'নিশ্চিত' আসন হেরে অভিষেক মনু সিংভির আক্ষেপের সুরে বলেন, 'যে ৯ জন ক্রস ভোটিং করলেন, তারা আগের রাতেও আমার সঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করলেন। মানুষের মনের কোনও ঠিক ঠিকানা নেই।' এদিকে তিনি বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, ‘তাদের মতে এই হল নয়া ভারত। নির্বাচনে জিততে তারা যা কিছু করতে পারে।’