ক'দিন আগেই গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রোর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত এই রুটে মেট্রোর যাত্রী পরিষেবার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বহু নিত্যযাত্রী। তবে এরই মাঝে দেখা দিল এক সঙ্কট। এই প্রকল্পে নিযুক্ত থাকা কিছু কর্মীরা আন্দোলন শুরু করায় এই বিপত্তি।
1/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ মার্চ থেকে গঙ্গার নীচ দিয়ে হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড রুটে মেট্রোর বাণিজ্যিক যাত্রী পরিষেবা চালু হওয়ার কথা। এই রুটে মেট্রো চালু হলে হাওড়া স্টেশন থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত চলে আসা যাবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই। নিত্যযাত্রীদের জন্য তা এক বড় পাওনা হতে চলেছে। তবে এই রুটে মেট্রো পরিষেবা শুরুর আগেই দেখা দিল শঙ্কার মেঘ।
2/5 জানা গিয়েছে, ১৩ মার্চ, বুধবার হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মীরা। অভিযোগ, মেট্রো কর্তৃপক্ষ নাকি অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীদের জানিয়েছে, তাঁদের মধ্যে থেকে ১০০ জনকে আর কাজে বহাল রাখা হবে না। এই পরিস্থিতিতে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় আন্দোলন শুরু করেছেন এই প্রকল্পে নিযুক্ত অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী ও ট্রাফিক মার্শালদের একাংশ।
3/5 মূলত চাকরি বাঁচানোর জন্যেই এই আন্দোলন শুরু করেছেন অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী ও ট্রাফিক মার্শালরা। এই আবহে ১৫ মার্চ পর্যন্ত এই আন্দোলন জারি থাকলে ঠিক মতো পরিষেবা চালু করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে আশঙ্কা। এদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের থেকে ১০০ জনকে ছেঁটে ফেলে অন্য সংস্থার মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই আবহে তাঁদের দাবি না মেটানো হলে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
4/5 আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাঁদের অনেকেই বিগত ১৪ বছর ধরে এখানে অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে এসেছেন। এই আবহে তাঁদের দাবি, অন্যত্র থেকে চুক্তিভিত্তিক র্মী নিয়োগ চলছে। এই আবহে তাঁরা যে এতবছর কাজ করলেন, তাহলে তাঁদেরকেই চুক্তিভিত্তিক ভাবে নিয়োগ করা হোক। আন্দোলনকারীদের দাবি, ১৫ মার্চ এই রুটে মেট্রো চালু হলে তাঁদের আর কাজে আসতে হবে না বলে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
5/5 এই আবহে মেট্রো স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এই কর্মীরা আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। তাঁদের বক্তব্য, মেট্রো কর্তৃপক্ষকে তাঁরা তাঁদের দাবির বিষয়ে জানিয়েছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে যাতে অস্থায়ী ভাবেই নিয়োগ করা হয়, সেটাই তাঁদের দাবি। তবে দাবি না মানা হলে তাঁরা আন্দোলনের পথ থেকে হটবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।