'পাল্টাচ্ছে যুদ্ধের ধরন, মহিলাদের ভূমিকা আরও বেশি …', বলছেন সেনার মহিলা অফিসার
সেনায় মহিলাদের স্থায়ী কমিশনড পদ থেকে স্বপ্ন সফলের কাহিনি, মুখ খুললেন সেনার ৩ মহিলা অফিসার
সেনায় লিঙ্গ ভারসাম্য থেকে স্বপ্ন সফলের কাহিনি, মুখ খুললেন সেনার ৩ মহিলা অফিসার
1/5 হিন্দুস্তান টাইমস লিডার্স সামিটে একাধিক তাবড় ব্যক্তিত্বের সমাহার দেখা যায়। শনিবারের এই অনুষ্ঠানে এদিন যোগ দেন, ভারতীয় সেনার তিন মহিলা অফিসার। ভারতীয় নৌসেনার লেফ্টন্যান্ট কমান্ডার অন্নু প্রকাশ, ভারতীয় সেনার কর্নেল নেহা সিং, ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শৈলজা ধামি। হিন্দুস্তান লিডারশিপ সামিটের ২১ তম পর্বের পঞ্চম দিনে তাঁদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন আলোচনা প্রসঙ্গে উঠে আসে প্রতিরক্ষায় ভারতের মহিলা অফিসারদের অবস্থান।
2/5 কর্নেল নেহা সিং তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভারতীয় সেনায় মহিলা অফিসারদের স্থায়ী কমিশন করার ঘটনা ‘টার্নিং পয়েন্ট’। তিনি তুলে ধরেন ছোটবেলা থেকে তিনি কতটা আশা রেখেছিলেন ভারতীয় সেনা অফিসার হওয়ার বিষয়ে। কর্নেল নেহা সিং ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম মহিলা অফিসারদের মধ্যে একজন যাকে কমান্ডের ভূমিকায় নিযুক্ত করা হয়েছে। ২০০৪ সালে কমিশনপ্রাপ্ত, সিং পশ্চিম সেক্টরে একটি এয়ার ডিফেন্স ইউনিটের কমান্ডিং অফিসার।
3/5 হিন্দুস্তান টাইমসের রাহুল সিংয়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় ক্যাপ্টেন নেহা সিং, ‘সেনা বাহিনীতে টার্নিং পয়েন্ট নিয়ে যে কথা হচ্ছে, সাম্প্রতিক স্থায়ী কমিশন যা মহিলা অফিসারদের মঞ্জুর করা হয়েছে তার হাত ধরে পরে কমান্ডের ভূমিকা এবং পদোন্নতি এসেছে। আমরা যখন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করি, তখন প্রতিটি অফিসারের স্বপ্ন ছিল একদিন একজন কমান্ডিং অফিসার হব।’ তিনি বলছেন, তখন কখনও ভাবিনি এটা আমাদের সার্ভিসে আসবে। নেহা সিং বলছেন, ‘সেই দিক থেকে এটা সত্যিই টার্নিং পয়েন্ট।’
4/5 ভারতীয় নৌসেনার লেফ্টন্যান্ট কমান্ডার অন্নু প্রকাশ এই বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন,' ভারতীয় নৌবাহিনী তিনটি বাহিনীর মধ্যে প্রথম মহিলা অফিসার নিয়োগ করেছিল। ফলে সেখানে সংখ্যাটা বেড়েছে। ২০০৮ সালে, অপারেশন ক্ষেত্র মহিলাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। নৌ-অপারেশন অফিসার হিসেবে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এটি মহিলাদের জন্য অপারেশন ভূমিকা ছিল এবং আমি তাঁদের মধ্যে একজন ছিলাম।' তিনি বলেন, পরে ২০১৬ সালে পাইলট হিসাবে মহিলাদের সেখানে নিযুক্ত করা হয়। বর্তমানে তিনি আইএনএস কোচিতে রয়েছেব কর্মরত।
5/5 ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শৈলজা ধামি বলেন, ‘আজ, সেনার সমস্ত শাখা মহিলা অফিসারদের জন্য উন্মুক্ত। ফলে বেশ কয়েকটি কয়েকটা টার্নিং পয়েন্ট হয়েছে।’ ভারতীয় বায়ুসেনার ফ্রন্টলাইন ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স কমব্যাট ইউনিটের হেলিকপ্টার পাইলট হিসাবে নিযুক্ত হন। তখন ২০০৩ সাল। উল্লেখ্য, ২৮০০ ঘণ্টা হেলিকপ্টার চালানোর দক্ষতা রয়েছে ধামির।