বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > ICC ODI World Cup 2023: দল যেমনই হোক, DNA-তে হার না মানা নাছোড় মানসিকতা, কী ভাবে ইতিহাস গড়ল অজিরা?
ICC ODI World Cup 2023: দল যেমনই হোক, DNA-তে হার না মানা নাছোড় মানসিকতা, কী ভাবে ইতিহাস গড়ল অজিরা? Updated: 20 Nov 2023, 11:26 PM IST Tania Roy জোড়া হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। এর পর টানা নয় ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন। ২০০৩ সালের পর আরও একবার ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল অস্ট্রেলিয়া। এক ঝলকে দেখে নিন ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপে অজিদের যাত্রা পথটা কতটা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। 1/7 ভারতীয় ব্যাটিং যে কোনও দলের কাছেই ঈর্ষার কারণ। লিগ পর্বে প্রথমে ব্যাট করে বোর্ডে ৩০০ প্লাস রান তোলাটা অভ্যাসে পরিণত করেছিল টিম ইন্ডিয়া। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৪১০ রান করেছিল ভারত। এমন কী সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধেও প্রায় ৪০০ রান করেছিল তারা। স্বাভাবিক ভাবেই ফাইনালে ভালো কিছুরই প্রত্যাশা করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীরা। টস জিতে প্যাট কামিন্স ফিল্ডিং নিতেই প্রত্যাশা বাড়ে। কিন্তু তারকাখচিত ব্যাটিং লাইন আপ সাকুল্যে মাত্র ২৪০ রান তুলতে পারবে, এমনটা কেউই প্রত্যাশা করেনি। কিন্তু ভারত হেরে গেল অস্ট্রেলিয়ার দুরন্ত ক্রিকেট মস্তিষ্কের কাছে। টস জিতে আগে বল করা হোক বা ফিল্ডিং সাজানো, সব দিকেই ছিল অস্ট্রেলিয়ার বুদ্ধির ছাপ। ব্যাটিংয়েও সেটা দেখিয়েছেন ট্র্যাভিস হেড এবং মার্নাস ল্যাবুশেন। ছবি: পিটিআই 2/7 অথচ এই দলটাই ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে হেরে অভিযান শুরু করেছিল। ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করা অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বড় ধাক্কা খায়। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৩৪ রানে হারে অজিরা। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়ে যায়, আদৌ পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা কি সেমিতে উঠতে পারবে? ছবি: পিটিআই 3/7 তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় প্যাট কামিন্স বাহিনী। শ্রীলঙ্কাকে হারায় ৫ উইকেটে। সেই জয়ই তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। পরের ম্যাচে হাই-স্কোরিং লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। যেটা অজিদের জন্য টার্নিং পয়েন্ট ছিল। ছবি: পিটিআই 4/7 এর পর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩০৯ রানের জয়ে বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়ে অজিরা। ট্রান্স-তাসমান লড়াইতয়ে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ দেখে ক্রিকেট বিশ্ব। কিউয়িদের ৫ রানে হারিয়ে সেমির পথ তারা প্রশস্ত করে। পরের ম্যাচেই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে তাদের ৩৩ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ছবি: পিটিআই 5/7 অষ্টম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারতে হারতে বাঁচে অস্ট্রেলিয়া। ২৯২ রান তাড়া করতে নেমে, ৯১ রানে ৭ উইকেট থেকে অজিরা ৩ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয়। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মহাকাব্যিক ডাবল সেঞ্চুরিতে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও, মিচেল মার্শের দাপটে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ছবি: রয়টার্স 6/7 সেমিফাইনালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে প্রোটিয়াদের চাপে ফেলে অল্প রানে বেঁধে ফেললেও, কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২১২ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট করে, শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে অজিরা। ছবি: রয়টার্স 7/7 এর পর তো ফাইনালে নতুন করে ইতিহাস লেখে অস্ট্রেলিয়া। আমদাবাদে মেগা ফাইনাল ৬ উইকেটে জেতে প্যাট কামিন্সের দল। ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ জেতে অজিরা। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে ২৪০ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। জবাবে ট্র্যাভিস হেড এবং মার্নাস ল্যাবুশনের ১৯২ রানের জুটিতে সহজ জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচের সেরা হন হেড। ছবি: রয়টার্স