বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Indian Intel on Nijjar: নিজ্জর কোনও ধর্মগুরু ছিল না, ছিল এক খুনি, কানাডার দাবি উড়িয়ে জানাল ভারত
Indian Intel on Nijjar: নিজ্জর কোনও ধর্মগুরু ছিল না, ছিল এক খুনি, কানাডার দাবি উড়িয়ে জানাল ভারত Updated: 23 Sep 2023, 02:05 PM IST Abhijit Chowdhury খলিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের হত্যার নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গতকালও এই নিয়ে ট্রুডো দাবি করেন, এই নিয়ে নাকি কয়েক সপ্তাহ আগেই তথ্য দিল্লির হাতে তুলে দিয়েছে কানাডা। তবে ভারত জানিয়েছে, কোনও প্রমাণ ভারতকে দেয়নি কানাডা। 1/5 নিজ্জর হত্যা ইস্যুতে গতকালই ট্রুডো দাবি করেন, এই নিয়ে নাকি কয়েক সপ্তাহ আগেই তথ্য দিল্লির হাতে তুলে দিয়েছে কানাডা। তবে ভারত জানিয়েছে, কোনও প্রমাণ ভারতকে দেয়নি কানাডা। এরই মাঝে কামাডার গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, নিজ্জর নাকি নিছকই এক ধর্মগুরু ছিল। যদিও দিল্লির তরফে সাফ ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল, ধর্মীয় গুরু ছিল না, বরং সে ছিল এক খুনি। ভারত জানিয়েছে, নিজের ভাই রাঘবীরকে ভয় দেখিয়েই গুরুদ্বারের প্রধান হয়েছিল নিজ্জর। 2/5 উল্লেখ্য, গত জুন মাসে গুরুদ্বারের ভেতরেই গুলি করে হত্যা করা হয় খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জারকে। হরদীপকে ২০ বারেরও বেশি গুলি করা হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের পঞ্জাবি অধ্যুষিত সারে অঞ্চলে থাকত হরদীপ। বিগত কয়েকবছরে কানাডার ভ্যানকুবারে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে খলিস্তানি বিক্ষোভের নেপথ্যে ছিল এই হরদীপ। 3/5 কানাডায় মৃত হরদীপের বিরুদ্ধে এআইএ-র চারটি মামলা ছিল। এক হিন্দু পুরোহিতকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র সহ খলিস্তানি যোগের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। গতবছর জুলাইতেই হরদীপের মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ধার্য করেছিল এনআইএ। জানা যায়, হরদীপ খলিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধান ছিল। গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের 'শিখস ফর জাস্টিস' সংগঠনের মতামত প্রচারের দায়িত্ব ছিল হরদীপের টাইগার ফোর্সের ওপর। 4/5 উল্লেখ্য, ভারতে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ গুরপতবন্তের 'সিখস ফর জাস্টিস'। সেই সংগঠনেরই প্রতিনিধি হিসেবে কানাডায় নিযুক্ত ছিল হরদীপ। কানাডার শিখদের মধ্যে খলিস্তান ভাগের প্রস্তাবনা পাশ করানোর দায়িত্ব ছিল হরদীপের কাঁধে। এদিকে যে গুরুদ্বারে হরদীপকে খুন করা হয়েছিল, সেই গুরুদ্বারেই সম্প্রতি পাশ করানো হয় খলিস্তানপন্থী প্রস্তাবনা। সেই প্রস্তাবনা পাশ করানোর সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ছিলেন ভারতেই। 5/5 জানা গিয়েছে, সারে-তে অবস্থিত গুরু নানক শিখ টেম্পল একপ্রকার দখল করে নিয়েছিল হরদীপ। সে গুরুদ্বারের সভাপতি ছিল। গত দুই বছর ধরে এই দায়িত্ব পালন করে আসছিল সে। কানাডার ভ্যানকুবারে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে খলিস্তানি বিক্ষোভের আয়োজন করত এই হরদীপ। এদিকে কানাডা ভিত্তিক খলিস্তানি নেতা মনিন্দর বয়েলেরও ঘনিষ্ঠ ছিল হরদীপ। এই মনিন্দর আবার শ্রী দমশমেশ দরবারের সভাপতি ছিল। মনিন্দর এবং হরদীপের গুরুদ্বারের বিরুদ্ধে বিচ্ছিনতাবাদী খলিস্তানি মনোভাব প্রচারের অভিযোগ রয়েছে। যদিও তা নিয়ে কানাডা সরকার কোনও পদক্ষেপই করেনি।