বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > IT Sector Job Change: 'কুলিং অফ পিরিয়ড'কে থোড়াই কেয়ার, 'শত্রু শিবিরে' IT কর্তারা, HR-এর মাথায় হাত
IT Sector Job Change: 'কুলিং অফ পিরিয়ড'কে থোড়াই কেয়ার, 'শত্রু শিবিরে' IT কর্তারা, HR-এর মাথায় হাত Updated: 29 Sep 2023, 08:21 AM IST Abhijit Chowdhury ভারতের অধিকাংশ আইটি সেক্টর সংস্থায় নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিতে 'কুলিং অফ পিরিয়ডের' উল্লেখ থাকে। অর্থাৎ, কোনও কর্মী সেই সংস্থা থেকে চাকরি ছাড়লে একই ধরনের অন্য কোম্পানিতে সঙ্গে সঙ্গে চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন না। সোজা কথায়, একটা চাকরি ছেড়েই প্রতিপক্ষের খাতায় নাম লেখানো যাবে না। তবে মানা হচ্ছে না সে নিয়ম। 1/5 একটি আইটি সংস্থায় চাকরিতে ঢুকতে গেলে যে চুক্তি পত্রে সই করতে হয়, তাতে 'নন কম্পিট ক্লজ' থাকে। তাতে 'কুলিং অফ পিরিয়ডের' উল্লেখ থাকে। অর্থাৎ, কোনও কর্মী সেই সংস্থা থেকে চাকরি ছাড়লে একই ধরনের অন্য কোম্পানিতে সঙ্গে সঙ্গে চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন না। সোজা কথায়, একটা চাকরি ছেড়েই প্রতিপক্ষের খাতায় নাম লেখানো যাবে না। তবে মানা হচ্ছে না সেই 'নিয়ম'। আর এইচআর-এর বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এটা। 2/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, আইটি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তাদের নিয়োগ চুক্তিতে ৬ থেকে ১২ মাসের 'নন কম্পিট ক্লজ' থাকে। অর্থাৎ, কোনও কর্তা সেই সংস্থা ছাড়ার অন্তত ৬ থেকে ১২ মাস অন্য প্রতিপক্ষ সংস্থার উচ্চ পদে যোগ দিতে পারবেন না। তবে কোথায় আর মানা হচ্ছে এই 'নিয়ম'? চুক্তিপত্রের কিছু শব্দ হিসেবেই তা থেকে যাচ্ছে। 3/5 তবে কেন তৈরি হচ্ছে এই পরিস্থিতি? কেনই বা এইচআর এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না? কারণ, চুক্তিপত্রে যতই 'নন কম্পিট ক্লজ' থাকুক না কেন, আইন আদালতের চোখে তার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। এই আবহে এই 'নিয়ম' ভেঙে কোনও উচ্চপদস্থ কর্তা যদি নয়া চাকরিতে যোগ দেন, তাহলে আগের সংস্থার এইচআইর-এর কাছে তাঁকে ঠেকানোর কোনও উপায়ই নেই। 4/5 সম্প্রতি ইনফোসিসের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করে কগ্নিজ্যান্টের সিইও পদে যোগ দিয়েছিলেন রবি কুমার। ইনফোসিস ছাড়া এবং কগ্নিজ্যান্টে যোগ দেওয়ার মধ্যে তিন মাসেরও কম অন্তর ছিল। এছাড়াও ইনফোসিস ছেড়ে টেক মহিন্দ্রায় যোগ দেবেন মোহিত যোশী। উইপ্রো ছেড়ে কগ্নিজ্যান্টের সিএফও হচ্ছেন জতিন দলাল। এই কোনও ক্ষেত্রেই ৬ থেকে ১২ মাসের অন্তরে চাকরি বদল করছেন না কর্তারা। 5/5 উল্লেখ্য, উচ্চ পদে থাকা এই কর্তারা নিজের আগের সংস্থার সব খুঁটিনাটি তথ্য জানেন। এই আবহে সেই তথ্য যে তারা নয়া সংস্থায় যোগ দিয়ে কাজে লাগাবেন না, এর কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই আবহে আগের সংস্থার সব গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে অন্য সংস্থার কাছে। এই কারণেই নিয়োগপত্রে থাকে 'নন কম্পিট ক্লজ'। তবে ভারতীয় আদালতে এই ধরনের বিধিনিষেধকে পাত্তা দেওয়া হয় না। চাকরি ছাড়ার পর আগের সংস্থার এই সব বিধিনিষেধকে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়। আর তাই উচ্চপদস্থ কর্তাদের এভাবে চাকরি বদল নিয়ে কিছু করতে পারছে না আগের সংস্থার এইচআর।