৪জি এখন অতীত। দেশের বহু জায়গাতেই পৌঁছে গিয়েছে ৫জি। এই আবহে জিও-র দাবি, খুবই দ্রুত গতিতে দেশের সর্বত্র ৫জি ছড়িয়ে দিচ্ছে তারা। তবে আপাতত ৪জি-র দামেই ৫জি পরিষেবা দিচ্ছে জিও। তবে এবার কি ধীরে ধীরে ৫জি-র প্ল্যানের দাম বাড়তে চলেছে? এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন সংস্থার প্রেসিডেন্ট ম্যাথিউ ওমেন।
1/5 বাজারে আসার পর থেকেই ভারতের টেলিকম ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসে। প্রথমে তো বেশ কয়েক মাস বিনামূল্যেই ইন্টারনেট পরিষেবা দিচ্ছিল জিও। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে প্ল্যানের দাম বাড়াতে থাকে জিও। তবে জিও-কে টেক্কা দিতে এয়ারটেল, ভোডাফোনকেও অনেক কমাতে হয়েছিল তাদের ট্যারিফ। এরপর এল ৫জি। তবে আপাতত ৪জি-র দামেই ৫জি পরিষেবা দিচ্ছে জিও এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি।
2/5 এদিকে ৫জি পরিষেবা এখনও দেশের সর্বত্র চালু হয়নি, এরই মধ্যে ৬জি-র তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এই আবহে ৫জি-র ট্যারিফ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এরই মাঝে জিও-র প্রেসিডেন্ট ম্যাথিউ ওমেন জানিয়ে দিলেন, আপাতত কোনও প্ল্যানেরই দাম বাড়াোর কথা ভাবছে না সংস্থা। গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা।
3/5 জিও-র প্রেসিডেন্ট জানান, এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া, বিএসএনএল/এমটিএনএল-এর ২৪০ মিলিয়ন গ্রাহককে নিজেদের দিকে টানার দিকে নজর দেবে জিও। ম্যাথিউ বলেন, 'রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এবং জিও-র চেয়ারম্যান আকাশ আম্বানি মনে করেন যে দেশের যে ২০০ মিলিয়ন মানুষ ২জি নেটওয়ার্কে আছেন, তাদের কাছে ডিজিটাল অভিজ্ঞতা পৌঁছে দিতে হবে।'
4/5 তথ্য বলছে, গ্রাহক পিছু খরচের দিক দিয়ে জিও-র গ্রাহকরা বিগত ত্রৈমাসিকে প্রতি মাসে গড়ে ১৮১.৭ টাকা খরচ করেন। এর আগের ত্রৈমাসিকে প্রতি মাসে গড়ে গ্রাহকরা খরচ করছিলেন ১৭৭.২ টাকা। আর তার আগের ত্রৈমাসিকে প্রতি মাসে গড়ে জিও-র গ্রাহকরা খরচ করছিলেন ১৮০.৫ টাকা।
5/5 এই আবহে এয়ারটেল প্রধান গোপাল ভিত্তল দাবি করেছিলেন দীর্ঘ মেয়াদে এই ইন্ডাস্ট্রিকে টিকিয়ে রাখতে হলে গ্রাহক পিছু মাসিক খরচ ৩০০ টাকা হওয়া উচিত। এয়ারটেলের ক্ষেত্রে গ্রাহক পিছু মাসিক খরচ জিও-র থেকে অনেকটাই বেশি - প্রায় ২০০ টাকা। ভোডাফোন আইডিয়াও গ্রাহক পিছু খরচ বৃদ্ধির দাবি তুলছে। তবে জিও জানিয়েছে, আপাতত তারা ট্যারিফ বাড়াবে না।