বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Samudrayaan 'MATSYA 6000': এবার গভীর সাগরের রহস্য হবে ভেদ, ভারতের প্রথম সমুদ্রযানে ঢুকলেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
Samudrayaan 'MATSYA 6000': এবার গভীর সাগরের রহস্য হবে ভেদ, ভারতের প্রথম সমুদ্রযানে ঢুকলেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী Updated: 12 Sep 2023, 07:54 AM IST Abhijit Chowdhury কয়েকবছর আগে থেকেই শুরু হয়েছিল পরিকল্পনা। সমুদ্রের গভীরে গিয়ে রহস্য ভেদের লক্ষ্যে তৈরি করা হচ্ছিল সমুদ্রযান। সেই সমুদ্রযান 'মৎস্য ৬০০০' প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর এই 'সাবমেরিন'-এর ছবি প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। এই সমুদ্রযানটি সাগরের ৬০০০ মিটার নীচে পর্যন্ত যেতে পারবে। 1/5 চেন্নাইতে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশেন টেকনোলজিতে তৈরি হচ্ছে ভারতের সমুদ্রযান 'মৎস্য ৬০০০'। সেই সমুদ্রযানের ছবি ও ভিডিয়ো সম্প্রতি পোস্ট করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। গতকাল চেন্নাইতে এনআইওটি-তে গিয়ে নিজে সেই সমুদ্রযানের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন রিজিজু। 'মৎস্য ৬০০০'-এর ভেতরেও ঢোকেন তিনি। কীভাবে এই সমুদ্রযান কাজ করবে, তা বোঝার চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে। 2/5 মুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যেই তৈরি করা হচ্ছে 'মৎস্য ৬০০০'। কতকটা সাবমেরিনের মতো হলেও কাজকর্মে এই সমুদ্রযানটি অনেকটাই ভিন্নি। গভীর সমুদ্রাভিযানের ক্ষেত্রে 'এয়ার প্রেসার' মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে এই যান। এদিকে এই সমুদ্রযানটি সমুদ্রের নীচে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে সক্ষম হলেও প্রথম অভিযানে এটিকে ৫০০ মিটার নীচে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের। 3/5 আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স, চিনের মতো দেশ আগেই এই ধরনের গভীর সমুদ্রাভিযান করেছে। 'মৎস্য ৬০০০'-এর হাত ধরে সেই ক্লাবে নাম লেখাতে চলেছে ভারতও। সমুদ্রের নোনা জলকে পানীয় জলে পরিণত করা, সমুদ্রের জল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো বিষয়ে গবেষণা চালানো হবে এই অভিযানে। 4/5 'মৎস্য ৬০০০' নামক এই জলযানে তিনজন চেপে গভীর সমুদ্রে নামতে পারবেন। এটি ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে সমুদ্রের গভীরে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই সময়সীমাকে বাড়িয়ে ৯৬ ঘণ্টা করা যাবে। এক হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার মিটার গভীরতায় গিয়েও এটি কাজ করতে পারবে। যেকোনও ধরনের ডিভাইস, সেন্সর নিয়ে এই জলযান গভীর সমুদ্রে চলে যেতে পারবে এই 'মৎস্য ৬০০০'। 5/5 জানা গিয়েছে, মৎস্য ৬০০০-এর নকশা তৈরির দায়িত্ব ছিল ডিআরডিও এবং আইআইটি মাদ্রাজের ওপর। এই সমুদ্রযানে করেই প্রথমবারের জন্য সাগরের গভীরে মানুষ পাঠাতে চলেছে ভারত। রিজিজু দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর 'ব্লু অর্থনীতি' পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাহায্য করবে এই অভিযান। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, এই অভিযানের জেরে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।