মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্প বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে রাজ্যে। এই আবহে পঞ্চায়েত নির্বাচবনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা সব যোগ্য উপভোক্তাদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিয়মে বড় বদল আনল রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, গতকাল, ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার। এরই মাঝে এই নিয়ম বদল।
1/5 দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সময় যে প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়ার জন্য সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়ে, তার মধ্যে অন্যতম হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তবে এর আগে নিয়ম ছিল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেতে হলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। তবে এই নিয়ম পরিবর্তন করে অনেকের মুখে হাসি ফোটাল রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামের মহিলা ভোটারদের মন জয়ে এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
2/5 দুয়ারে সরকার শুরু হতেই রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। দুয়ারে সরকারের প্রথম দিনই স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, বিধবা ভাতা, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৫.৫ লাখ আবেদনপত্র জমা পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। এই আবহে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নিয়ম বদল করে আরও বেশি সংখ্যক মহিলাকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিল মমতার সরকার।
3/5 এখনও পর্যন্ত অনেকেরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল না। এই আবহে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন জানাতে হলে আগে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য আবেদন করতে হচ্ছিল। এতে জটিলতা বাড়ছিল। এর জেরে নিয়মের ফেরে অনেকেই সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নিয়মে বদল আনায় খুশি অনেক গৃহস্থ মহিলারা।
4/5 নবান্ন সূত্রে খবর, দুয়ারে সরকারের কর্মসূচির প্রথমদিনই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য ১ লক্ষ ৩৫ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে রাজ্য জুড়ে। এদিকে প্রথম দিনই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য ৬০ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এদিকে খাদ্যসাথী প্রকল্পের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি। বিধবা ভাতার সুবিধা পেতে আবেদন করেছেন ২১ হাজার।
5/5 এই প্রথমবার দুয়ারে সরকারের শিবিরে অভিযোগ জানানো যাবে। এর জন্য থাকবে অভিযোগ বক্স। এর মধ্যে উপভোক্তারা কোনও প্রকল্পের সুবিধা না পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি উপভোক্তা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য না হন তাহলে কেন তিনি পরিষেবা পাওয়ার যোগ্য নন, তাও খতিয়ে দেখা হবে।