সব সময় যে অনেক খরচ করে বেড়াতে যেতে হবে এমন কিন্তু না! জায়গা আর সঙ্গী ভালো হলে, যে কোনও ট্যুরই হবে স্মরণীয়।
1/6ঘুরু ঘুরু করা মনটাকে শান্তি দিতে লাগবে শুধু দিন দুই ছুটি, আর অল্প খরচ। তাহলেই মনের মতো জায়গায় কাটিয়ে নিতে পারবেন মনে রাখার মতো কিছু সময়। কলকাতার খুব কাছে থাকায় এই জায়গাগুলিতে যাতায়াতের ঝক্কি কম। তাই বেশি ভাবনাচিন্তা না করে প্ল্যান করেই ফেলুন। তার আগে দেখে নিন কোন কোন অপশন আছে আপনার হাতে।
2/6রূপনারায়নের তীরে দেউলটি। অমর কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বসতভিটা এখানেই। গ্রাম বাংলার স্বাদ আস্বাদন করতে চাইলে এখানে চলে আসুন। দেউলটি স্টেশনে নামতে হবে ট্রেনে করে। সেখান থেকে ভ্যান বা অটোতে সামতাবেড়। এখানেই সেই বিখ্যাত বাড়ি। পাশেই রূপনারায়ন নদী। যেখান থেকে সূর্যাস্ত দেখার মজাই আলাদা। দেউলটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি হোটেল আর রিসর্ট। সেখানে থাকুন রাতে।হাওড়া খড়গপুর লাইনের ট্রেন ধরে চলে যান দেউলটি স্টেশন। সেখান থেকে টোটো করে সোজা হোটেল। তারপর হোটেলে খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ুন। খরচ: ট্রেনের ভাড়া ৫০ টাকার কম। স্টেশন থেকে অটো হোটেলে ছাড়তে নেবে ২০০-৩০০ টাকা, দূরত্ব বুঝে। এরপর সারাদিন ঘোরাতে ৫০০ টাকার কাছাকাছি। হোটেল পাবেন এখানে ১৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা রাত প্রতি। যেহেতু এই জায়গা একদিনেই ঘুরে নেওয়া যায়, তাই আপনাদের খরচ পড়বে ৫০০০ টাকারও কম।
3/6এখানে ইচ্ছামতী। এক দিকে বাংলাদেশ, আরেকদিকে ভারত। গোলপাতার জঙ্গল নদীর ধার ঘেঁষেই। ম্যানগ্রোভের বিভিন্ন প্রজাতির গাছও রয়েছে এখানে। শীতে যা ভরে থাকে পরিযায়ী পাখিতে। আপনি চাইলে এখানে নৌকাবিহার করতে পারেন। বহু প্রাচীন এক জমিদারবাড়ি রয়েছে এখানে, সেটাও ঘুরে দেখতে পারেন। শিয়ালদহ থেকে লোকাল ট্রেনেই টাকি পৌঁছনো যায়। থাকার জায়গারও অভাব নেই, বিভিন্ন দামের হোটেল আছে। খাওয়াদাওয়ারও অনেক অপশন। খরচ: ট্রেনের টিকিট ৫০ টাকারও কম, তারপর স্টেশন থেকে টোটো বা রিক্সা ভাড়া ১০০-১৫০ টাকা। হোটেল পেয়ে যাবেন ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকায়। একরাত-দুদিন থাকতে পারবেন পাঁচ হাজারেরও কম টাকায়।
4/6পারফেক্ট উইকেন্ড ডেস্টিনেশন বললেই নাম আসে শান্তিনিকেতনের। কবিগুরুর দেশ। বোলপুর আর খোয়াই ঘুরতে থাকতে হবে দু' রাত। বোলপুরে হোটেলের দাম একটু কম। সে হিসেবে খোয়াইতে থাকা একটু খরচসাপেক্ষ। শিয়ালদহ আর হাওড়া থেকে অনেক এক্সপ্রেস ট্রেন পাবেন। লোকাল ট্রেনে যেতে চাইলে প্রথমে বর্ধমান। সেখান থেকে ট্রেন বদলে বোলপুর। বোলপুরের আনাচে কানাচে ঘুরুন, দেখুন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। চলে যান খোয়াইয়ের হাটে। ঘুরে দেখুন কোপাই নদী। চাইলে সতীপিঠ কঙ্কালীতলাতেও পুজো দিতে পারেন। খরচ: এক্সেপ্রেস ট্রেনে সিট রিজার্ভ করলে ১৫০ টাকা লাগবে (নন এসি)। লোকাল ট্রেনে ৬০-৭০ টাকা। এবার হোটেলের দাম পড়বে একরাতে ১০০০ থেকে ৪০০০ টাকা। আশপাশ ঘুরে দেখতে টোটো পাবেন, ভাড়া ৫০০-৭০০। মানে দুদিন থাকতে চাইলে ৫০০০-৬০০০ খরচ হবে আপনার।
5/6কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তালসারি। ওড়িশা রাজ্যের বালেশ্বর জেলায় অবস্থিত এই সি বিচ। সমুদ্রের ধার দিয়েই পেয়ে যাবেন নানা বাজেটের হোটেল আর রিসর্ট। তালসারি তাঁদের জন্য আদর্শ যাঁরা ভিড়ভাট্টা এরিয়ে চলতেই পছন্দ করেন। একদম নিরিবিলিতে কাটাতে পারবেন এখানে। কলকাতা থেকে দীঘার বাস বা ট্রেন ধরে নিন। এবার দীঘা স্টেশনের সামনে থেকে টোটো। সামনে থাকা দীঘা বা উদয়পুর বিচও ঘুরে নিতে পারবেন। খরচ: ট্রেন বা বাস ভাড়া (নন এসি ১৫০ টাকা মতো/ এসি ৫০০ টাকা), ভ্যান ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা। হোটেল ভাড়া দু' দিনের ৩০০০-৪০০০ টাকা। এবার খাওয়ার খরচ বুঝেশুনে করলেই আরামসে ৬-৭ হাজার থাকায় ঘুরে নেওয়া যাবে তালসারি।
6/6দু' রাত থাকার জন্য পুরুলিয়ার বড়ন্তিও খুব ভালো জায়গা। কলকাতা থেকে বড়ন্তি যেতে সময় লাগে ৫-৬ ঘন্টা। আসানসোল স্টেশনে নেমে গাড়ি করে যেতে পারেন। অথবা ট্রেন ধরে মুরডি স্টেশন। বড়ন্তির একদিকে আছে রয়েছে বিহারিনাথ পাহাড়, কাছেই গড়পঞ্চকোট, অন্যদিকে পাঞ্চেত ড্যাম। ঘুরে নিন কল্যাণেশ্বরী মন্দির। বর্ষাকালে না হলেও শীতকালে ট্রেক করতে পারেন দন্ডাহিত পাহাড়ে। বড়ন্তি লেকের ধারে বসে সূর্যাস্ত দেখার মজাই আলাদা। খরচ: এখানে যাতায়াতে সামান্য় বেশি খরচ হতে পারে, ওই ধরুন ১০০০ টাকা মতো। নানান বাজেটের হোটেল পাবেন। দুরাত থাকতে লাগতে পারে সবমিলিয়ে ৭-৮ হাজার টাকা (খাওয়া, সাইটসিং মিলিয়ে)।