বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > High Court on Hijab and Sacred Thread: হিজাব পরতে পড়ুয়াদের বাধ্য করা যায় না, পৈতে নিষিদ্ধ করা যায় না, বলল হাই কোর্ট
High Court on Hijab and Sacred Thread: হিজাব পরতে পড়ুয়াদের বাধ্য করা যায় না, পৈতে নিষিদ্ধ করা যায় না, বলল হাই কোর্ট Updated: 31 Aug 2023, 07:56 AM IST Abhijit Chowdhury বিগত কয়েক মাস ধরেই ভারতের শিক্ষাঙ্গনে অন্যতম বিতর্কিত ইস্যু হল হিজাব। কর্ণাটক থেকে এর সূচনা। সেরাজ্যের বিগত বিজেপি সরকারের তরফে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এরই মাঝে এবার হিজাব নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের। 1/5 বুধবার এক মামলার প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণ করে, 'হিজাব পড়তে পড়ুয়াদের বাধ্য করা যায় না। আবার পৈতে নিষিদ্ধ করা যায় না।' উল্লেখ্য, এক বেসরকারি স্কুলের প্রশাসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি নাকি ছাত্রীদের হিজাব পরতে বাধ্য করেছেন। সেই নিয়েই মামলা। অভিযুক্তগে জামিনে মুক্তি দেয় উচ্চ আদালত। তবে সঙ্গে এই ইস্যুতে তাৎপর্যপূর্ণ মতামতও প্রকাশ করে হাই কোর্ট। 2/5 জানা গিয়েছে, গত ৩১ মে মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলার 'গঙ্গা যমুনা উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়'-এর প্রশাসকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়। বেসরকারি স্কুলের প্রশাসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, অ-মুসলিম পড়ুয়াদেরও হিজাব পরতে বাধ্য করেছিলেন তারা। এই আবহে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। 3/5 বিতর্কের সূত্রপাত স্কুলের টপারদের একটি পোস্টার ঘিরে। স্কুলের তরফে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির টপারদের একটি পোস্টার লাগানো হয়েছিল। পোস্টারে দেখা যায়, সব ছাত্রীরাই হিজাব পরে আছেন। তবে পোস্টারে থাকা ছাত্রীদের মধ্যে পাঁচজন মুসলিম ছিলেন না। এরপরই 'গঙ্গা যমুনা উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়'-এর প্রশাসকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। 4/5 সেই মামলার প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার পালিওয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্ত আসফা শেখ, আনাস আথার এবং রুস্তম আলিকে ব্যক্তিগত ৫০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন। সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে বলেন, 'হিজাব পড়তে পড়ুয়াদের বাধ্য করা যায় না। আবার পৈতে নিষিদ্ধ করা যায় না।' 5/5 বিচারপতি নির্দেশ দেন, জামিনের আবেদনকারীরা যেন এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটান। তাদের স্কুলের কারও পৈতে থাকলে তা নিষিদ্ধ করা যাবে না। বা কপালে কেউ তিলক লাগাতে চাইলে, তাও লাগাতে দিতে হবে। অন্য ধর্মের পড়ুয়াদের ভিনধর্মের গ্রন্থ পড়তে বাধ্য করা যাবে না। হিন্দু বা জৈন ধর্মের মেয়েদের হিজাব পরতে বাধ্য করা যাবে না। উল্লেখ্য, এই মামলায় অভিযোগ উঠেছিল যে স্কুল কর্তৃপক্ষ অ-মুসলিমদেরও কোরান পরে এবং মুখস্ত করতে বাধ্য করত। তবে সেই এলাকায় অন্য কোনও ভালো স্কুল না থাকায় সেখানকার হিন্দু ও জৈনদের অনেকেই সেই স্কুলেই পড়ে।