ভারত বিরোধিতার নীতি সামনে রেখেই রাজনীতি করে আসছেন মলদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। তবে তাঁর চিন প্রীতির জন্য মবদ্বীপকে বড় দাম চুকোতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সম্প্রতি চিনের এমন এক সংস্থার সঙ্গে মলদ্বীপ চুক্তি করেছে, যেটি এডিবি-র তালিকায় নিষিদ্ধ।
1/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের তালিকায় নিষিদ্ধ চিনা নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে হাত মেলাল মালে। জানা গিয়েছে, মলদ্বীপের কাদ্ধু বিমানবন্দরকে ঢেলে সাজাতে এবং এটিকে আন্তর্জাতিক মানের বানাতে সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং নামক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মলদ্বীপ সরকার। এই সংস্থাই এডিবির তালিকায় নিষিদ্ধ।
2/5 উল্লেখ্য, চিনের সরকারের অধীনে থাকা সাইনোম্যাক নামক সংস্থার সাবসিডিয়ারি হল এই সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং। সম্প্রতি সেই সংস্থার আধিকারিকরা মলদ্বীপে এসেছিলেন। সেই সময় এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জানা গিয়ছে, মলদ্বীপের লামু অ্যাটলের ফোনাধুতে সফররত থাকার সময় এই চুক্তিতে সই করেন মুইজ্জু।
3/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে যখন মুইজ্জু বেজিং সফরে গিয়েছিলেন, তখনই সিএএমসির সঙ্গে মলদ্বীপের চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। সেই সময় সাইনোম্যাক-এর চেয়ারম্যান ঝ্যাং জিয়ালুনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। তখনই মলদ্বীপে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিংকে কাজে লাগানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
4/5 উল্লেখ্য, বিগত দিনে উন্নয়নের নামে আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানে একাধিক পরিকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে চিন। তারপরে ঋণের বোঝায় সেই সব জায়গার অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। মুইজ্জুর সরকার ক্রমাগত মলদ্বীপকে সেদিকেই ঠেলে দিচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
5/5 প্রসঙ্গত, এই সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং নেপালের পোখরা বিমানবন্দরের 'উন্নয়নের' কাজ করেছিল। পরে প্রাথমিক প্রস্তাবের দ্বিগুণ দর হেকেছিল সংস্থাটি। সেখানের কাজের জন্য ৩০৫ মিলিয়ন ডলার চেয়েছিল চিনা সংস্থাটি। পরে অনেক বিতর্কের পর এক ধাক্কায় ৩০ শতাংশ কমিয়ে ২১৬ মিলিয়ন ডলারে সেই কাজ করে। অনেক পরে অবশ্য জানা যায়, চিনা সংস্থার ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রী নিম্নমানের ছিল।