২০২৫ সালের মধ্যে 'ন্যূনতম মজুরি' তুলে দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্টে এমনই দাবি করা হচ্ছে। 'ন্যূনতম মজুরি'র বদলে 'লিভিং ওয়েজ' আনার ভাবনা রয়েছে সরকারের। এর জন্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের সাহায্য চেয়েছে দিল্লি।
1/5 কেন্দ্রীয় সরাকরের আধিকারিকরা নাকি ইতিমধ্যেই ন্যূনতম মজুরির বদলে 'লিভিং ওয়েজ' চালুর বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে আইএলও কর্তাদের সঙ্গে। এই বদলের জন্য অনেক তথ্য সংগ্রহের বিষয় আছে। সেই সব কাজের জন্য আইএলও-র থেকে সাহায্য চায় কেন্দ্রীয় সরকার। 'লিভিং ওয়েজ'-এর ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরতেও আইএলও-র সাহায্য চাইছে কেন্দ্র।
2/5 তবে এই 'লিভিং ওয়েজ' কী? মানুষের মৌলিক চাহিদা - বাসস্থান, খাদ্য, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা, বস্ত্রের মতো বিষয়গুলির ক্রয়ক্ষমতা যাতে তৈরি হয়, সেই সমপরিমাণ মজুরির ভাবনাকেই 'লিভিং ওয়েজ' বলা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন এই 'লিভিং ওয়েজ' ভাবনাকে সমর্থন করে।
3/5 তবে লিভিং ওয়েজ চালু হলে কি ন্যূনতম মজুরির থেকে বেশি টাকা পাওয়া যাবে? রিপোর্ট অনুযায়ী, ন্যূনতম মজুরিতে ভারতে এখন যত টাকা বেতন দেওয়া হয়, তার থেকে বেশি টাকা মিলবে লিভিং ওয়েজ চালু হলে। ইকোনমিক টাইমসকে এই নিয়ে এক সরকারি আধিকারিক বলেন, একবছরের মধ্যে ন্যূনতম মজুরি ছাপিয়ে গিয়ে মাইনে দেওয়ার নীতি চালু হতে পারে।
4/5 এর আগে জেনেভাতে নিজেদের সাধারণ সভায় এই 'লিভিং ওয়েজ' ভাবনাকে গ্রহণ করেছিল আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন। রিপোর্ট অনুযাযীয়, বর্তমানে ভারতে ৫০ কোটি মানুষ শ্রমিক ন্যূনতম মজুরি পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ শ্রমিক অসংগঠিত সেক্টরে কাজ করেন। একেক রাজ্যে আবার একেক ন্যূনত মজুরি স্থির হয়। তবে মোটের ওপর প্রায় ১৭৬ টাকার আশেপাশেই ন্যূনত মজুরি দেওয়া হয় এখন দেশে।
5/5 এদিকে ২০১৯ সালেই বেতন বিধি পাশ হয়েছিল সংসদে। তবে তা কার্যকর হয়নি। এই বিধি কার্যকর হলে সব রাজ্যে সমান পরিমাণ ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হত দেশে। এদিকে ২০৩০ সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের পথের পথিক হতে চায় ভারত। এর জন্যে এবার ন্যূনতম মজুরির বদলে দেশে 'লিভিং ওয়েজ' চালু করার ভাবনা গ্রহণ করা হয়েছে।