দু'দিকের সীমান্তে চিন ও পাকিস্তানকে পরোক্ষ বার্তা ভারতের। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওড়িশার উপকূলের আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে ভারত সফলভাবে নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র 'অগ্নি প্রাইম' উৎক্ষেপণ করেছে। এর ফলে ভারতের সামরিক্ষ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেল।
1/5 বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওড়িশার উপকূলের আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে ভারত সফলভাবে নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র 'অগ্নি প্রাইম' উৎক্ষেপণ করল। উৎক্ষেপণটি প্রত্যক্ষ করেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের প্রধান, ডিআরডিও এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
2/5 প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, ব্যালিস্টিক পারমাণবিক মিসাইলের পরীক্ষাটি সমস্ত উদ্দেশ্য পূরণ করেছে। আবদুল কালাম দ্বীপের আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন থাকা বেশ কয়েকটি রেঞ্জ সেন্সরের ডেটা থেকে মিসাইল পরীক্ষণের সাফল্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
3/5 উৎক্ষেপণের পরে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং মিসাইলের সফল পরীক্ষামূলক লঞ্চের জন্য ডিআরডিও, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড এবং সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁর মতে, সফল ভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করা এবং সামরিক বাহিনীতে এর সংযোজন ভারতের জন্য একটি 'চমৎকার' খবর। ভারতের সামরিক শক্তি এতে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।
4/5 এই 'অগ্নি প্রাইম' বা 'অগ্নি-পি' মিসাইলটি হল পরমাণবিক সক্ষম নতুন প্রজন্মের অগ্নি শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্রের একটি উন্নত রূপ। এটি একটি দ্বি-পর্যায়ের ক্যানিস্টারাইজড মিসাইল। এর সর্বোচ্চ রেঞ্জ ১০০০ থেকে ২০০০ কিমি। আগের অগ্নি মিসাইলগুলি থেকে এই নতুন মিসাইলটি অনেকটাই হালকা। অগ্নি ৩ থেকে এই অগ্নি প্রাইম প্রায় ৫০ শতাংশ হালকা।
5/5 ক্যানিস্টারাইজড মিসাইল হওয়ায় খুব সবজেই অগ্নি প্রাইমকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে সড়ক বা রেলপথে। এর লঞ্চের প্রস্তুতির জন্যেও কম সম ব্যয় করতে হবে। অগ্নি প্রাইম মিসাইলের প্রথম সফল পরীক্ষণ হয়েছিল ২০২১ সালে। এর ৬ মাস পরে ২০২১ সালের ডিসেম্ব এর দ্বিতীয় পরীক্ষা হয়েছিল। এরপর গত ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রথমবার অগ্নি প্রাইমকে রাতে লঞ্চ করেছিল ডিআরডিও। আর গত মাসে ভারত সফল ভাবে অগ্নি ৫ মিসাইল লঞ্চ করে পরীক্ষা চালিয়েছিল।